সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের কুপনের রেট ঘোষণা
Published: 23rd, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বন্ড খাতে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের অর্ধবার্ষিক সময়ের জন্য মুনাফা বা কুপন রেট ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সময়ের জন্য বন্ডটির ইউনিটধারীদেরকে ১০ শতাংশ হারে মুনাফা দেওয়া হবে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বন্ডটির ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক পিএলসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বন্ডের ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে কুপনের হার অনুমোদন করা হয়।
তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের জন্য বন্ডটির ১০ শতাংশ হারে অর্ধবার্ষিক কুপন রেট ঘোষণা করেছে।
আরো পড়ুন:
বিএসইসির নতুন মুখপাত্র আবুল কালাম
লভ্যাংশ দেবে না আইসিবি এএমসিএল গোল্ডেন জুবিলি ফান্ড
এর আগে, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের জন্য বন্ডটির ১০ শতাংশ হারে অর্ধবার্ষিক কুপন রেট ঘোষণা করে।
সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের আকার ৪০০ কোটি টাকা। এর ইউনিট সংখ্যা ৪ হাজার। প্রতিটি ইউনিট বা লটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা।
২০২২ সালের ২০ জুন পুঁজিবাজারে বন্ডটির লেনদেন শুরু হয়। সিটি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
ঢাকা/এনটি/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সময় র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়: আইন উপদেষ্টা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকার গঠিত কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, অবশ্যই কিছু কিছু জায়গায় অধ্যাদেশটির পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আজ বিকেলে পর্যালোচনা কমিটি বৈঠকে বসবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি তখন (অধ্যাদেশটি অনুমোদনের সময়) বিদেশে ছিলাম। আমি আইনটি প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম না। তো পরবর্তীকালে যখন আমি আইনটি দেখেছি, তারপর আমার কাছে মনে হয় যে, অবশ্যই এটা পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়।’
আরও পড়ুনসচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের৩৪ মিনিট আগেসরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশটি করেনি বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তিনি শুধু একটা কথা বলতে পারেন, সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইনটি করেনি। অসৎ উদ্দেশ্যে করা না হলেও কোনো আইনে এমন বিধান থাকতে পারে, যেটা যাঁরা আইনের সাবজেক্ট, তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, তাঁরা বিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সেটি আমরা স্বীকার করি যে, এ রকম সম্ভাবনা এই আইনে থাকতে পারে।’
পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা জানান, কমিটি আজ বিকেল চারটায় বৈঠকে বসে সরকারি কর্মচারীরা যেসব দাবি দিয়েছেন, সেগুলোর কী কী বিবেচনা করা হবে, কীভাবে করা হবে, তা ঠিক করা হবে। ঠিক করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিটি একটি প্রতিবেদন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তুলবে। কমিটি শুধু প্রতিবেদন দেবে। কমিটি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক না।
এ রকম পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে কর্মসূচি দেওয়ার জন্য আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কমিটির কাজ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে (কর্মসূচি) দেন। সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, সেটি লক্ষ্য রাখার জন্য কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।
ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর আজ সোমবার আবার সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে তাঁদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার ঈদের ছুটি শুরু আগে আগে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে এ কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।