হোম অব ক্রিকেটে প্রস্তুতির মঞ্চে নিজেদের মধ্যে ম্যাচে চারশ ছুঁইছুঁই রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। কিন্তু দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর তাওহীদ হৃদয়ের শতক আর জাকের আলীর ফিফটিতে ভর করে কোনোমতে দুইশ পার করে বাংলাদেশ।

এবার দেশ, ভেন্যুর সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে প্রতিপক্ষও। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির যে উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ, সেখানে রীতিমত হয় রান উৎসব। শান্তরা রাওয়ালপিন্ডির এই উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রান উৎসবে শামিল হতে পারবেন তো? নাকি আবারও বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়বেন?

প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের কাছে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন ছিল সংবাদকর্মীদের। ক্যারিবিয়ান এই কোচের বিশ্বাস, বাংলাদেশের ক্ষমতা আছে তিনশর বেশি রান করার। সবশেষ কয়েকটি ম্যাচে তিনশর বেশি রান করার উদাহরনও দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ।

আরো পড়ুন:

উঁচু মূল্য লিটনের, ঝুলে আছে দলবদল প্রক্রিয়া

সাকিবের ‘ইউটার্ন’

“এটা বড় স্কোরের মাঠ এবং গতকাল লাহোরে আমরা বড় রান দেখেছি। আমরাও এখানে বড় রান প্রত্যাশা করছি, তিনশর বেশি রান আশা করছি।”

“হ্যাঁ, শেষ পাঁচ ম্যাচের কয়েকটিতে আমরা তিনশর বেশি রান করেছি। আমাদের এটি করার সক্ষমতা রয়েছে। শেষ ম্যাচে আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। দুইশ রানে থেমেছি। আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি তাহলে তিনশর বেশি রান হবে” -যোগ করেন সিমন্স।

শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনশর বেশি (৩২১) আরেকটিতে ২৯৪ রান করে। দুটির কোনোটিতেই জিততে পারেনি। সিমন্সের নজরে বিষয়টি আনলে পালটা জবাবে উত্তর দেন, “প্রতিপক্ষ হয়তো বাংলাদেশ থেকে ভালো খেলেছে।”

সিলেটের মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এবারের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২৯১ রান করতে পারে। রাওয়ালপিন্ডিতে কত রান করতে পারে এখন সেটিই দেখার।

এদিকে প্রথম ম্যাচে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিউইদের বিপক্ষে দেখা যাবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে? কোচ জানান, ম্যাচ ফিটনেসের পরীক্ষায় উতরাতে পারলে তবে রাখা হবে একাদশে।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’