প্রথম মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতিদের জন্য নির্দেশনামূলক গবেষণার ফল প্রকাশ
Published: 24th, February 2025 GMT
প্রথমবারের মতো মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতিদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ও সঠিক নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। এসব সেবা ও নির্দেশনা নিয়ে কিছু গবেষণা পরিচালনা করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ। ‘সংযোগ প্রকল্প’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এসব গবেষণা চালানো হয়েছে। এসব গবেষণা নতুন মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য, ফলাফল ও অভিজ্ঞতা আমন্ত্রিত অতিথিদের জানানো হয়। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেন ও জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চলমান প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। বহুদেশীয় প্রকল্পটি নোয়াখালী ও মাদারীপুর জেলার মোট আটটি উপজেলায় গবেষণা কার্যক্রম শেষ করেছে। এই প্রকল্পে করা গবেষণাগুলো হলো ব্যারিয়ার অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেটর অ্যানালিসিস, পিএনসি এক্সপেক্টেশন ভার্সেস রিয়েলিটি স্টাডি, র্যাপিড সার্ভে, ইম্প্যাক্ট ইভালুয়েশন ও রিয়েলিস্ট ইভালুয়েশন।
অনুষ্ঠানে দুটি উপস্থাপনার মাধ্যমে গবেষণার ফল তুলে ধরেন আরসিএইচের উপপরিচালক ডা.
এরপর সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক মুক্ত আলোচনা হয়। এটি পরিচালনা করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামের (সিসিএসডিপি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার। তিনি বলেন, ‘সংযোগ প্রকল্পটি এপ্রিলে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটি থেকে পাওয়া ফলাফল ও তথ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেবাদানকারীদের মাধ্যমে প্রসব–পরবর্তী পর্যায়ে মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। সরকারের সীমিত লোকবলের সাহায্যেও এই প্রকল্পের অর্জনগুলোর প্রভাব ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি বিভাগের ডিরেক্টর রিফাত বিন সাত্তার বক্তব্যে বলেন, ‘সংযোগ প্রকল্পটি মামণি প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুটি জেলায় বাস্তবায়ন করা হয়। আমরা আশা করছি, সংযোগ প্রকল্পের পাইলটিং থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের অন্যান্য প্রকল্প এলাকায়ও বাস্তবায়ন করা যাবে। এ ছাড়া সরকারও এই তথ্য ও ফলাফল বিভিন্ন নীতিনির্ধারণ এবং প্রকল্পের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘সংযোগ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এতে প্রথমবারের মতো মা–বাবা হওয়া দম্পতিদের প্রসব–পরবর্তী সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করা হয়েছে। আশা করি, গবেষণা থেকে পাওয়া এসব তথ্য ও ফলাফল সরকারের নীতিনির্ধারণে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএমের পরিচালক মো. তসলিম উদ্দিন খান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর সাবিনা পারভীন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হক প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স য গ প রকল প প রকল প র অন ষ ঠ ন ফল ফল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন