প্রথমবারের মতো মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতিদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ও সঠিক নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। এসব সেবা ও নির্দেশনা নিয়ে কিছু গবেষণা পরিচালনা করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ। ‘সংযোগ প্রকল্প’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এসব গবেষণা চালানো হয়েছে। এসব গবেষণা নতুন মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য, ফলাফল ও অভিজ্ঞতা আমন্ত্রিত অতিথিদের জানানো হয়। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেন ও জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চলমান প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। বহুদেশীয় প্রকল্পটি নোয়াখালী ও মাদারীপুর জেলার মোট আটটি উপজেলায় গবেষণা কার্যক্রম শেষ করেছে। এই প্রকল্পে করা গবেষণাগুলো হলো ব্যারিয়ার অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেটর অ্যানালিসিস, পিএনসি এক্সপেক্টেশন ভার্সেস রিয়েলিটি স্টাডি, র‍্যাপিড সার্ভে, ইম্প্যাক্ট ইভালুয়েশন ও রিয়েলিস্ট ইভালুয়েশন।

অনুষ্ঠানে দুটি উপস্থাপনার মাধ্যমে গবেষণার ফল তুলে ধরেন আরসিএইচের উপপরিচালক ডা.

আবু সাঈদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সহযোগী বিজ্ঞানী বিধান কৃষ্ণ সরকার।

এরপর সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক মুক্ত আলোচনা হয়। এটি পরিচালনা করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামের (সিসিএসডিপি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার। তিনি বলেন, ‘সংযোগ প্রকল্পটি এপ্রিলে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটি থেকে পাওয়া ফলাফল ও তথ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেবাদানকারীদের মাধ্যমে প্রসব–পরবর্তী পর্যায়ে মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। সরকারের সীমিত লোকবলের সাহায্যেও এই প্রকল্পের অর্জনগুলোর প্রভাব ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি বিভাগের ডিরেক্টর রিফাত বিন সাত্তার বক্তব্যে বলেন, ‘সংযোগ প্রকল্পটি মামণি প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুটি জেলায় বাস্তবায়ন করা হয়। আমরা আশা করছি, সংযোগ প্রকল্পের পাইলটিং থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের অন্যান্য প্রকল্প এলাকায়ও বাস্তবায়ন করা যাবে। এ ছাড়া সরকারও এই তথ্য ও ফলাফল বিভিন্ন নীতিনির্ধারণ এবং প্রকল্পের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘সংযোগ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এতে প্রথমবারের মতো মা–বাবা হওয়া দম্পতিদের প্রসব–পরবর্তী সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করা হয়েছে। আশা করি, গবেষণা থেকে পাওয়া এসব তথ্য ও ফলাফল সরকারের নীতিনির্ধারণে সহায়তা করবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএমের পরিচালক মো. তসলিম উদ্দিন খান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর সাবিনা পারভীন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অর্থ বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হক প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স য গ প রকল প প রকল প র অন ষ ঠ ন ফল ফল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া