নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় শুধুমাত্র মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ওপর চাপাতে নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি মনে করেন, পুরো দলই ব্যর্থ হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দলে কেউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাদশে জায়গা পান না এবং সৌম্য সরকারের বাদ পড়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২৩৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একসময় ২ উইকেটে ৯৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দল। মাইকেল ব্রেসওয়েলের অফ-স্পিনে তাওহিদ হৃদয়, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ পরপর আউট হন, আর তিনটি উইকেটই ছিল বাজে শটের ফসল। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে বেশি প্রত্যাশা থাকে। 

তবে শান্ত মনে করেন, ব্যর্থতার দায় শুধু তাদের নয়, বরং পুরো ব্যাটিং ইউনিটের। ‘দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে আলাদাভাবে দেখতে চাই না। আমার মনে হয়, পুরো দল হিসেবে আমরা ভালো খেলিনি। সিনিয়র ক্রিকেটার বলে কারও ওপর বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে, এমন নয়। ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি’, বলেন শান্ত।

সৌম্য সরকারের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পরিপ্রেক্ষিতে। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও তার আগে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। গত বিশ্বকাপের পর থেকে এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, মুশফিক আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথম বলেই আউট হন এবং তার শেষ ১৩ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি ছিল। এরপরও কেন তাকে দলে রাখা হলো?

শান্তর ব্যাখ্যা, ‘এই দলে কেউ অটো চয়েস নয়। সৌম্য টপ অর্ডারে ব্যাট করে, আর রিয়াদ ভাই লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাট করে। সৌম্য যদি খেলত, তাহলে ব্যাটিং অর্ডারে বড় পরিবর্তন করতে হতো। রিয়াদ ভাই সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে ভালো ব্যাটিং করেছেন, তাই তাকে একাদশে রাখা হয়েছে।’

মুশফিকের ক্ষেত্রেও দল একইভাবে চিন্তা করেছে বলে জানান অধিনায়ক, ‘মুশফিক ভাইয়ের কিপিং আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার অভিজ্ঞতা ও দলের প্রতি অবদান বছরের পর বছর ধরে প্রমাণিত। কয়েকটি ইনিংসে রান না পেলেও আমি তার ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নই। হয়তো পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াবেন তিনি।’ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। তাই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিহাইড্রেশন দূর করতে ‘লেবুর কাজী’

লেবুর কাজী ভাতের সাথে ডালের মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, মাংসের ঝুরা, কালা ভুনা, এবং কোয়াবের সঙ্গে খেতেও অনেক ভালো লাগে। ভুনা বা ডিপ ফ্রাই মাছের সাথেও বেশ জমে যায় লেবুর কাজী।

উপকরণ

ঠান্ডা পানি: ৫০০ মিলি

ভাজা শুকনা মরিচ: ২টি

লেবু: ১টি (রস করে নেওয়া)

সরিষার তেল: ১ টেবিল চামচ

রসুন কুচি: ১ চা চামচ

লবণ: স্বাদমতো

প্রথম ধাপ: একটি বড় বাটিতে লেবুর রস, শুকনা মরিচ, রসুন কুচি, সরিষার তেল ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর  হাত দিয়ে উপকরণগুলো ভালোভাবে মেখে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ: এবার পরিমাণমতো পানি যোগ করুন। এরপর সবকিছু একসাথে মিশিয়ে নিলেই তৈরি লেবুর কাজী।

সূত্র: শিউলি কিচেন

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ