বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।

প্রথম জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে: তারেক রহমান

আ.

লীগ পরিকল্পিতভাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে যোগসাজশ করেছে: ফখরুল

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় আব্দুল্লাহ আল নোমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, বাসাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী এক ছেলে, এক মেয়ে নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাম ঘরনার রাজনীতি থেকে গত শতাব্দীর ৯০ দশকে বিএনপিতে যোগ দেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা দীর্ঘ রাজনীতৈকি জীবনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়ত্ব পালন করনে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

আব্দুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আফসারুল আমিনের কাছে হেরে যান।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অন ষ ঠ ত ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে উঠে পাহাড় দেখতে সীতাকুণ্ডে যাচ্ছিলেন, পড়ে যুবকের মৃত্যু

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোরে উপজেলার নিজকুঞ্জরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে এ এলাকার রেলপথের পাশের ঝোপ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

নিহত যুবকের নাম মেহেদি হাসান (২৪)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার সুরুজ আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে ঝোপে স্থানীয় বাসিন্দারা মেহেদির মরদেহ প্রথমে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে নিহত যুবকের পকেটে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মুঠোফোন পান। এরপর তাঁর মুঠোফোন থেকে নম্বর নিয়ে বন্ধুদের কল করা হয়। তখন মৃত্যুর কারণ জানা যায়।

নিহত যুবকের বন্ধু ও স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের ছাদে মেহেদিসহ কয়েকজন এসেছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাহাড় দেখতে যাওয়া। তবে মহুরীগঞ্জে এলাকা অতিক্রম করার সময় মেহেদি ছাদ থেকে পড়ে যান। পরে বন্ধুরা তাঁকে ছাড়াই সীতাকুণ্ডে যান। পুলিশের ধারণা, গাছের কোনো ডালের সঙ্গে বাড়ি লেগে মেহেদি নিচে পড়ে যেতে পারেন।

জানতে চাইলে ফেনী রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) ইনচার্জ উপপরিদর্শক দীপক দেওয়ান বলেন, এটি অপমৃত্যু, নাকি অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ