সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আব্দুল্লাহ আল নোমানের জানাজা অনুষ্ঠিত
Published: 25th, February 2025 GMT
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
প্রথম জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে: তারেক রহমান
আ.
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় আব্দুল্লাহ আল নোমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, বাসাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী এক ছেলে, এক মেয়ে নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাম ঘরনার রাজনীতি থেকে গত শতাব্দীর ৯০ দশকে বিএনপিতে যোগ দেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা দীর্ঘ রাজনীতৈকি জীবনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়ত্ব পালন করনে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আফসারুল আমিনের কাছে হেরে যান।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অন ষ ঠ ত ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
নাফ নদ থেকে চার জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফ নদ থেকে চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া সংলগ্ন লাল দ্বীপ নাফনদে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত জেলেরা হলেন, আরাফাত উল্লাহ (২১), আনিস উল্লাহ (২২), মো. জাবের (১৪), আনোয়ার সাদেক (২৭)। তারা সবাই টেকনাফের জাদিমুড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ নুর বলেন, প্রতি দিনের মতো ড্রামের ভেলা দিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফনদে শিকারে যায় জেলেরা। এসময় মিয়ানমার থেকে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এতে আরও বেশ কয়েকজন জেলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় জেলে মোহাম্মদ আলম বলেন, আরাকান আর্মির কারণে জেলেদের সব সময় আতঙ্কের মধ্য থাকতে হয়। প্রায় সময় জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। আজকেও চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।