দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯ বছরে প্রথমবারের মতো বাড়ল জন্মহার
Published: 26th, February 2025 GMT
নয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার বেড়েছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান জনসংখ্যাগত সংকটের মাঝে এই পরিসংখ্যানকে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের হার বাড়ায় জন্মহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দক্ষিণ কোরিয়ায় জনসংখ্যাগত সংকট কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটিতে জন্মহার বেড়ে হয়েছে শূন্য দশমিক ৭৫।
২০২৩ সালে দেশটিতে জন্মহার টানা ৮ বছর কমে দাঁড়িয়েছিল শূন্য দশমিক ৭২-এ, যা ছিল বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার ছিল এক দশমিক ২৪ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়া জন্মহার বাড়াতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ হাতে নেয়। তরুণদের বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
স্ট্যাটিস্টিক্স কোরিয়ার এক কর্মকর্তা পার্ক হিউন-জং এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এখন দেশের সামাজিক মূল্যবোধে পরিবর্তন এসেছে। বিবাহ এবং সন্তান জন্মদান সম্পর্কে আরো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে।
২০২৪ সালে দেশটিতে জন্মহার বাড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিয়ে। যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। করোনা মহামারির পর ২০২৩ সালে বিয়ে বেড়ে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অনাহারে নিহতের মোট সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৮৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬২ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জনে পৌঁছেছে।
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
বিদেশে অবস্থানরত হামাস নেতাদের ওপর আরো হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
মন্ত্রণালয়ের আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছেন। এতে করে গত ২৭ মে থেকে মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ কেন্দ্র থেকে সাহায্য নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ২ হাজার ৫০৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আরো ১৮ হাজার ৩৮১ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে গাজা উপত্যকায় সব ধরনের আন্তর্জাতিক জরুরি সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। যা গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দার জন্য বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। দুর্ভিক্ষ, ব্যাপক রোগব্যাধি দেখা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩২ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৪৬ জন শিশু রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘ বলছে, প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ঢাকা/ফিরোজ