আমি আর জহিরের মাঝে ধর্ম কখনও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি: সোনাক্ষী
Published: 28th, February 2025 GMT
২০২৪ সালের ২৩ জুন, দুই পরিবারকে সাক্ষী রেখে আইনি মতে বিয়ে করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা আর জহির ইকবাল। হিন্দু পরিবারের মেয়ে হয়ে মুসলিম পরিবারে বিয়ে করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোষানলে পড়তে হয়েছিল সোনাক্ষীকে।
এককথায় বিয়ের পর একাধিকবার শুধু ‘ধর্মের কারণে’ই বিতর্কের মুখে পড়েছেন শত্রুঘ্নকন্যা। এ ভিন্নধর্মী বিয়ের জন্যই অভিনেত্রীর দুই ভাই লব-কুশ তাদের অনুষ্ঠানে অংশ নেননি! তবে সেসবে কান না দিয়ে ‘মিঞা-বিবি’ দিব্যি সুখের ঘরকন্না পেতেছেন। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই সংসার সুখের ঝলক মেলে। এবার স্বামীর হয়ে মুখ খুললেন সোনাক্ষী সিনহা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বাবা শত্রুঘ্ন তাদের বিয়েতে সায় দিয়েছিলেন বলেই ভাইদের অনুপস্থিতি নিয়ে অতটা মাথা ঘামাননি তিনি। বিয়ের পর এই প্রথম শ্বশুরবাড়ি নিয়ে বললেন সোনাক্ষী সিনহা। তাঁর ভাষ্যে ‘আমি আর জহিরের বিয়ের মাঝে ধর্ম কখনও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা কোনোদিন ধর্মটাকে সেভাবে গুরুত্বই দিইনি। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি এবং বিয়ে করতে চাই। জহির কোনো দিন ওর ধর্ম আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি; আমিও আমার ধর্ম ওর ওপর চাপিয়ে দিতে চাইনি। আমাদের মধ্যে কখনও ধর্ম নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। আমরা একে অপরের ধর্ম এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল বরাবর।’
সোনাক্ষী আরও বলেন, ‘জহিরের বাড়িতে ওদের সব রীতি-রেওয়াজ পালন হয়। আর আমি আমার বাড়িতে আমার মতো উৎসব-অনুষ্ঠান করি। জহির আমাদের দিওয়ালির পুজোতেও অংশ নেয়। আমিও শ্বশুরবাড়ির উৎসবে ওদের মতো করে যোগ দিই। বিয়ের আগে কিংবা পরে আমাকে শ্বশুরবাড়ির তরফে কিংবা জহির কোনোদিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ দেয়নি।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ
মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।
আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়।
আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।
এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।
এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।