বেসরকারি সংস্থায় বড় নিয়োগ, পদ ৩০১
Published: 28th, February 2025 GMT
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রাম ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (পিসিডি) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি স্মার্ট প্রজেক্টে ১২ ক্যাটাগরির পদে ৩০১ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের স্ব-হস্তে লিখিত দরখাস্ত পাঠাতে হবে।
১. পদের নাম: প্রজেক্ট ম্যানেজারপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: ডিভিএম/ ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি/ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বা এ ধরনের বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে ছয় বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৫০ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৭০,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড, যাতায়াত ও মোবাইল ভাতা প্রযোজ্য হবে।
২.পদের নাম: এনভায়রনমেন্ট ও আরইসিপি অফিসার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স/ সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং/ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট/ ফরেস্টি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট/ জিওগ্রাফি বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৪০ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড, যাতায়াত ও মোবাইল ভাতা প্রযোজ্য হবে।
৩. পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার (লাইভস্টক)পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: ডিভিএম/ ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি/ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি বা এ ধরনের বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৪০ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড, যাতায়াত ও মোবাইল ভাতা প্রযোজ্য হবে।
৪. পদের নাম: এমআইএস অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন অফিসারপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: সামাজিক বিজ্ঞান/ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ/ পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড, যাতায়াত ও মোবাইল ভাতা প্রযোজ্য হবে।
৫. পদের নাম: অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: অ্যাকাউন্টিং/ ফিন্যান্স বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৪৫ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড, যাতায়াত ও মোবাইল ভাতা প্রযোজ্য হবে।
৬. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনিক্যাল অফিসার (লাইভস্টক)পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: লাইভস্টক/ফুড/অ্যাগ্রিকালচার বিষয়ে ডিপ্লোমা। সংশ্লিষ্ট পদে দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৩০,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড, যাতায়াত ও মোবাইল ভাতা প্রযোজ্য হবে।
৭. পদের নাম: জোনাল ম্যানেজারপদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে ছয় বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৪৫ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৫২,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড প্রযোজ্য হবে।
৮. পদের নাম: এলাকা ব্যবস্থাপকপদসংখ্যা: ১০
যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৪২ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৪৫,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড প্রযোজ্য হবে।
৯. পদের নাম: শাখা ব্যবস্থাপকপদসংখ্যা: ৩০
যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে চার বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৪০ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ৩৬,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুনআনসার বাহিনীতে বড় নিয়োগ, পদ ২৭১ ৬ ঘণ্টা আগে১০. পদের নাম: সিনিয়র ক্রেডিট অফিসারপদসংখ্যা: ১০০
যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ২৪,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড প্রযোজ্য হবে।
১১. পদের নাম: ক্রেডিট অফিসারপদসংখ্যা: ১০০
যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।
বয়স: ২৮ থেকে ৩৫ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ১৮,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড প্রযোজ্য হবে।
১২. পদের নাম: হিসাবরক্ষক কাম আইটি সহকারীপদসংখ্যা: ৫০
যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট পদে দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩০ থেকে ৩৫ বছর
বেতন: শিক্ষানবিশকালে মাসিক বেতন ১৮,০০০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল অতিক্রম করার পর সংস্থার পলিসি অনুযায়ী স্থায়ী বেতন–কাঠামো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, ৩টি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্টাফ কল্যাণ ফান্ড প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুনপুলিশ নেবে কনস্টেবল, আবেদন শুরু ৩ মার্চ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদের সত্যায়িত অনুলিপি এবং মোবাইল নম্বরসহ আবেদনপত্র সরাসরি, কুরিয়ার বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। খামের ওপর পদের নাম উল্লেখ থাকতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: নির্বাহী পরিচালক, পিসিডি, রাধানগর মক্তব মোড়, পাবনা-৬৬০০।
আবেদনের শেষ সময়: ২৫ মার্চ ২০২৫।
আরও পড়ুনসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার, সার্বক্ষণিক গাড়ি২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র ষ ক ইনক র ম ন ট স শ ল ষ ট পদ উৎসব ভ ত পদ র ন ম গ র চ ইট অন য য অফ স র য গ যত
এছাড়াও পড়ুন:
২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
ভোলার ভ্যাপসা গরম, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সদর রোডজুড়ে তীব্র যানজট নাগরিক জীবনকে ব্যস্ত করে ফেলে। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ একটু স্বস্তি খোঁজে। আর সেই স্বস্তি এনে দিতে পারে ভোলার বিখ্যাত বৈষা দধি।
দুপুরের আগেই সব দোকানের হাঁড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। মহিষের কাঁচা দুধে পাতানো এই দই ভোলার স্বাদ, ইতিহাস ও গর্বের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ।
ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়। এই দইয়ের বিশেষত্ব হলো, মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে এটি পাতা হয়। বাজারে সচরাচর যে দই পাওয়া যায়, সেসব তৈরি হয় গরুর দুধ দিয়ে এবং দুধ জ্বালিয়ে গাঢ় করে। কিন্তু ভোলার বৈষা দধি হয় মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে।
জলবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার এক অমূল্য সম্পদ মহিষ। পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া, উত্তরে ইলিশা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর—এই চার নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার মহিষ। সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি, তবে স্থানীয় লোকজনের মতে তা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এই মহিষের দুধই বৈষা দধির প্রাণ।
প্রায় দুই শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকে এই দই। এ ছাড়া অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম প্রধান উপাদান এটি। উৎসব-পার্বণ, বিয়েশাদি কিংবা যেকোনো সামাজিক আয়োজনে বৈষা দধি ছাড়া যেন ভোলার কোনো উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না।
মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের ‘ভোলা জেলার ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, দুই শ বছর আগে থেকে ভোলায় চর জাগতে শুরু করে। বসতি হয়, মহিষ পালন শুরু হয়। দুধ সংরক্ষণের উপায় ছিল না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দই বানাতেন। সেখান থেকেই বৈষা দধির যাত্রা শুরু, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো অঞ্চলে।
ভোলার মানুষের খাদ্যসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এই দই। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়, চিড়া-মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক খাবার, আবার গরমের দিনে দই, পানি ও চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ঘোল—যা শরীরকে শীতল রাখে। শীতকালে হাঁসের মাংসের সঙ্গে টক দই ও খেজুরের গুড়—ভোলার ভোজনরসিকদের কাছে এক অনন্য স্বাদ। পান্তাভাতের সঙ্গে দই ও খেজুরের গুড় এই অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি খাবার।
বর্তমানে প্রতি কেজি বৈষা দই বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তবে ঈদে দাম বেড়ে যায়। ঈদের আগেই বিক্রেতারা দুধ জমাতে শুরু করেন এবং এ সময়ে প্রতিদিন ৮০০–৯০০ কেজি পর্যন্ত দই বিক্রি হয়।
ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়