স্টেডিয়ামে যাওয়া ফুটবল দর্শকদের জন্য সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় কী? নিশ্চয় গোলশূন্য ড্র দেখে ফিরে আসা।
গোল না হলেই যে ম্যাচ ম্যাড়ম্যাড়ে হয়, ব্যাপারটা তেমন নয়। শূন্য-শূন্য ড্র ম্যাচও অনেক ক্ষেত্রে রোমাঞ্চ ও উত্তেজনা ছড়ায়। তবে দিন শেষে ফুটবল গোলের খেলা। গাঁটের পয়সা খরচ করে বিপুল দর্শক গোল দেখার জন্যই মাঠে যান।

কিন্তু দুই দল সমানসংখ্যক গোল করে যেমন ১ পয়েন্ট করে পায়, আবার গোলশূন্য ড্র করলেও ১ পয়েন্ট করে পায়। জেরার্ড পিকে ফুটবলের এই নিয়মেরই বদল চান। স্পেন ও বার্সেলোনার এই কিংবদন্তি গোলশূন্য ড্র ম্যাচে কাউকেই পয়েন্ট না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানকে অসম্ভব সমীকরণের মুখে ফেলে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া১৬ ঘণ্টা আগে

২০২২ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন পিকে। এর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ফুটবলের প্রতি আরও আকৃষ্ট করতে কিংস লিগ নামে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা করছেন। প্রতিযোগিতাটি এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান পিকে। এই কিংস লিগের কিছু নিয়ম অদ্ভুত। যেমন ১ গোলকে ২ গোলের সমান বিবেচনা করা হয়, এক দলে সাত খেলোয়াড়ের বেশি খেলতে পারেন না, যত খুশি তত বদলি নামানো যায়, এমনকি চাইলে যে কেউ মুখোশ পরে বা সং সেজে খেলতে পারেন।

জেরার্ড পিকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ