স্টেডিয়ামে যাওয়া ফুটবল দর্শকদের জন্য সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় কী? নিশ্চয় গোলশূন্য ড্র দেখে ফিরে আসা।
গোল না হলেই যে ম্যাচ ম্যাড়ম্যাড়ে হয়, ব্যাপারটা তেমন নয়। শূন্য-শূন্য ড্র ম্যাচও অনেক ক্ষেত্রে রোমাঞ্চ ও উত্তেজনা ছড়ায়। তবে দিন শেষে ফুটবল গোলের খেলা। গাঁটের পয়সা খরচ করে বিপুল দর্শক গোল দেখার জন্যই মাঠে যান।

কিন্তু দুই দল সমানসংখ্যক গোল করে যেমন ১ পয়েন্ট করে পায়, আবার গোলশূন্য ড্র করলেও ১ পয়েন্ট করে পায়। জেরার্ড পিকে ফুটবলের এই নিয়মেরই বদল চান। স্পেন ও বার্সেলোনার এই কিংবদন্তি গোলশূন্য ড্র ম্যাচে কাউকেই পয়েন্ট না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানকে অসম্ভব সমীকরণের মুখে ফেলে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া১৬ ঘণ্টা আগে

২০২২ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন পিকে। এর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ফুটবলের প্রতি আরও আকৃষ্ট করতে কিংস লিগ নামে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা করছেন। প্রতিযোগিতাটি এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান পিকে। এই কিংস লিগের কিছু নিয়ম অদ্ভুত। যেমন ১ গোলকে ২ গোলের সমান বিবেচনা করা হয়, এক দলে সাত খেলোয়াড়ের বেশি খেলতে পারেন না, যত খুশি তত বদলি নামানো যায়, এমনকি চাইলে যে কেউ মুখোশ পরে বা সং সেজে খেলতে পারেন।

জেরার্ড পিকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ