২০০০ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার দুই বছর পর তামিল সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০০৩ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে। অনেক সংগ্রামের পর বলিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন এই নায়িকা।

২০০২ সালে তামিল ভাষার ‘থামিজান’ সিনেমা মুক্তি পায়। অভিষেক চলচ্চিত্রে প্রিয়াঙ্কা তার সহশিল্পী হিসেবে পান থালাপাতি বিজয়কে। এরপর পর্দায় আর একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে। তবে প্রিয়াঙ্কা এখনো বিজয়কে ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। লেহরেন রেট্রো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া।

বিজয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে মধু চোপড়া বলেন, “আসলে, এই প্রকল্পকে ‘না’ করেছিল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তারা কোনোভাবে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়; তারপর তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘গ্রীষ্মের দুই মাসের ছুটিতে তাকে (প্রিয়াঙ্কা) শুটিং করার সুযোগ দিন।’ অনেক বোঝানোর পর তার বাবা কথা দেন। যার ফলে সে (প্রিয়াঙ্কা) কাজটি করে।”

বড় এই প্রজেক্টে বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেছেন মধু চোপড়া। পাশাপাশি বিজয়কে শ্রদ্ধা করার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “প্রিয়াঙ্কা সত্যিই বিজয়কে অনেক সম্মান করে। কারণ সে খুব সহনশীল। প্রভু দেবার ভাই রাজু সুন্দরম ছিলেন কোরিওগ্রাফার এবং প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কঠিন। বিজয় পেশাদার নৃত্যশিল্পী এবং এটি ধরে রাখা কঠিন ছিল। নতুন ভাষা শেখা, সংলাপ বলা এবং নাচ করা কঠিন ছিল।”

প্রিয়াঙ্কা তার কাজ সঠিকভাবে না করার কারণে তাকে তিরস্কার করতেন মা মধু চোপড়া। তার ভাষায়, “আমরা তাকে বলেছিলাম কোনো রিলস নষ্ট করা যাবে না। রুমে ফিরে সন্ধ্যায় তাকে অনুশীলন করানো হয়। এরপর সে তার কাজ সঠিকভাবে করতে থাকে। তারপর মানুষও তার প্রশংসা করতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাও অভিনয় উপভোগ করতে থাকে।”

সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে রুপালি জগতে পা রাখার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরুতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। সেই যাত্রা পথে বিজয়ের সমর্থন প্রিয়াঙ্কাকে অনেক সাহার্য করেছে। পরবর্তীতে মেধা-শ্রম দিয়ে নিজের অবস্থান গড়ে নেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জয় র ব জয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার