বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার রসায়ন, যা বললেন মধু চোপড়া
Published: 3rd, March 2025 GMT
২০০০ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার দুই বছর পর তামিল সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০০৩ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে। অনেক সংগ্রামের পর বলিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন এই নায়িকা।
২০০২ সালে তামিল ভাষার ‘থামিজান’ সিনেমা মুক্তি পায়। অভিষেক চলচ্চিত্রে প্রিয়াঙ্কা তার সহশিল্পী হিসেবে পান থালাপাতি বিজয়কে। এরপর পর্দায় আর একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে। তবে প্রিয়াঙ্কা এখনো বিজয়কে ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। লেহরেন রেট্রো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া।
বিজয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে মধু চোপড়া বলেন, “আসলে, এই প্রকল্পকে ‘না’ করেছিল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তারা কোনোভাবে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়; তারপর তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘গ্রীষ্মের দুই মাসের ছুটিতে তাকে (প্রিয়াঙ্কা) শুটিং করার সুযোগ দিন।’ অনেক বোঝানোর পর তার বাবা কথা দেন। যার ফলে সে (প্রিয়াঙ্কা) কাজটি করে।”
বড় এই প্রজেক্টে বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেছেন মধু চোপড়া। পাশাপাশি বিজয়কে শ্রদ্ধা করার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “প্রিয়াঙ্কা সত্যিই বিজয়কে অনেক সম্মান করে। কারণ সে খুব সহনশীল। প্রভু দেবার ভাই রাজু সুন্দরম ছিলেন কোরিওগ্রাফার এবং প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কঠিন। বিজয় পেশাদার নৃত্যশিল্পী এবং এটি ধরে রাখা কঠিন ছিল। নতুন ভাষা শেখা, সংলাপ বলা এবং নাচ করা কঠিন ছিল।”
প্রিয়াঙ্কা তার কাজ সঠিকভাবে না করার কারণে তাকে তিরস্কার করতেন মা মধু চোপড়া। তার ভাষায়, “আমরা তাকে বলেছিলাম কোনো রিলস নষ্ট করা যাবে না। রুমে ফিরে সন্ধ্যায় তাকে অনুশীলন করানো হয়। এরপর সে তার কাজ সঠিকভাবে করতে থাকে। তারপর মানুষও তার প্রশংসা করতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাও অভিনয় উপভোগ করতে থাকে।”
সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে রুপালি জগতে পা রাখার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরুতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। সেই যাত্রা পথে বিজয়ের সমর্থন প্রিয়াঙ্কাকে অনেক সাহার্য করেছে। পরবর্তীতে মেধা-শ্রম দিয়ে নিজের অবস্থান গড়ে নেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জয় র ব জয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত