গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের বিচারসহ ১১ দাবি ঢাবি সাদা দলের
Published: 4th, March 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার মানোন্নয়নসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখতে চান গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক
বাংলাদেশের তরুণদের কাছে সারাবিশ্ব পরিবর্তনের শিক্ষা নিয়েছে: হারমান বেঞ্জামিন
স্মারকলিপিতে সাদা দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার বাতিঘর। এর মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে জাতির জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার ঘটে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই উচ্চশিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নের অভিপ্রায়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ কার্যকর অপরিহার্য।
তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও উচ্চশিক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান অপরিসীম। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সমাজ তথা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলকভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের পাঠ-পঠন যেমন আধুনিক হয়নি, তেমনি এর অবকাঠামোরও সময়োপযোগী উন্নয়ন হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের জন্য আবসন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণের জন্য সাদা দলের পক্ষ থেকে দেওয়া দাবিগুলো বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপিতে তারা ১১ দফা দাবি উপত্থাপন করেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য স্বতন্ত্র বেড নিশ্চিতকরণ; হলগুলোর খাবারের মান বৃদ্ধি ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা; শ্রেণি কক্ষের মানোন্নয়ন ও পাঠদানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি; বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বৃদ্ধি; শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ সৃষ্টি।
অন্য দবিগুলো হলো- প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা; ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি; পরিবহন সুবিধা সম্প্রসারণ; স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং ও মেন্টরশীপ কর্মসূচি উন্নতিকরণ; প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন; শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তার সংস্কার; জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ র থ দ র জন য ন শ চ তকরণ স ম রকল প ব যবস থ ন নয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
তরুণ সমাজ দেশপ্রেমে উত্তীর্ণ হয়েছে, বাংলাদেশ উচ্চস্থানে উন্নীত হবে : ডিসি
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যত্থান তারুণ্যের বীরত্বে গাঁথা, ছাত্র-জনতার দেশপ্রেমের এক মহাকাব্য।
সেদিন আমাদের এই তরুণ ছাত্র -জনতা একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ও নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যেভাবে দেশপ্রেমী উজ্জীবিত হয়ে নিজের রক্ত ঢেলে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছে সেজন্য আমি তাদের প্রতি জানাচ্ছি অসীম কৃতজ্ঞতা।
আমরা বিশ্বাস করি আমাদের তরুণ সমাজের যে দেশপ্রেম, সেই দেশপ্রেমের শক্তিতে আমরা আমাদের বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব।
জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের তরুণ সমাজ যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে চেয়েছে আমরা সকলে মিলে সেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে সকলের অধিকার নিশ্চিত হবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আগামী তরুণ সমাজ আমাদের পাশে থাকবে।
আমরা যে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা আপনাদের সবাইকে নিয়ে মোকাবেলা করতে চাই। আর আপনারা যে স্বপ্ন দেখেছেন আমরা সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।
আমি বিশ্বাস করি আমাদের তরুণ সমাজ দেশপ্রেমে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা আগামীতেই দেশ পরিচালনা করবে তাদের হাতে দেশ নিরাপদ হবে। বাংলাদেশ অন্তত উচ্চস্থানে উন্নীত হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সূরা পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নিরব রায়হান।
বক্তব্য শেষে ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।