বিদায় বেলায় বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর জানিয়ে গেলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
Published: 5th, March 2025 GMT
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব ছাড়ার দিনে এমপিওভুক্ত (সরকার থেকে বেতন পান) বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সুখবর জানালেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং বিনোদন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ঈদুল আজহা থেকে এই সুবিধা কার্যকর হবে।
এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এখন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধু পরিকল্পনা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুনস্কুলে ভর্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন২২ ঘণ্টা আগেওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারব। এখানে আমি ঘোষণা দিচ্ছি না কত বাড়াব। আমি জানি এ বছর বাজেটের মধ্যে সেটুকু এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে সেটির বিধান রাখা হচ্ছে।আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে সি আর আবরারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো.
বেসরকারি শিক্ষকদের বিষয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৫ থেকে ২০ বছরের বঞ্চনা ১-২ বছরের বাজেট দিয়ে মেটানো যায় না। এটা বোঝানো খুব কঠিন। আজকেই সরকারি বেতনের সমান করে দিতে হবে-এটা ন্যায্য দাবি বুঝলাম, কিন্তু এক বছরের বাজেট দিয়ে কী করে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার। সেই শুরুটা তাঁরা করে দিয়ে যাচ্ছেন।
এখন ঢাকার সাত কলেজ চলবে ইউজিসির অধীন সমন্বিত কাঠামোর আওতায়ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'তাদের (এমপিওভুক্ত শিক্ষক) উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারব। এখানে আমি ঘোষণা দিচ্ছি না কত বাড়াব। আমি জানি এ বছর বাজেটের মধ্যে সেটুকু এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে সেটির বিধান রাখা হচ্ছে।'
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ ভাতার জন্য একটি তহবিলের কিছুটা এ বছরই তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, 'এ বছরই কিছুটা তৈরি করা হয়েছে। আগামী বাজেটে আরও রাখা হবে। তবে পুরো তহবিলটি টেকসই করতে হলে ১–২ বাজেটে হবে না,৩-৪ বাজেটে আশা করি ভবিষ্যতে এটির সমাধান হয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন২ মাস চলে গেল, আর কবে সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা০৩ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র ব জ ট ব সরক র উপদ ষ ট র জন য এ বছর আবর র
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।