৯ দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বিক্ষোভ
Published: 5th, March 2025 GMT
মহার্ঘ ভাতাসহ নয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের বিদ্যমান সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাতিলের প্রতিবাদে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির, মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বিক্ষোভে অংশ নেন।
পরে সভাপতি মো.
এ সময় তিনি আন্দোলনরত পরিষদের নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন ‘সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্স’ বাতিল হবে না এবং নয় দফা যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে, সচিবালয়ের ৪ নং ভবনের ক্যান্টিনে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ সঞ্চলনায় পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের সভাপতিত্বে সভায় দ্রুত সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি করা হয়।
তাছাড়া মহার্ঘ ভাতা, পুরান পদ-পদবি সময়োপযোগী করা, দুদকের ন্যায় ন্যায্যমূল্যে কর্মচারীদের জন্য রেশন চালুসহ নয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করা হয়। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।