বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে সুখবর দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আগামী জুনের মধ্যে বদলির সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষ করা হবে। এরপর অক্টোবর থেকে নীতিমালা মেনে বদলি শুরু করতে চায় মাউশি।

আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন মাউশির সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বদলির সফটওয়্যার তৈরিতে গঠিত কমিটির সভায় এ রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়।

জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক-২) ইউনুছ ফারুকী সমকালকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে পরিপত্র জারি করেছে, সে অনুযায়ী বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা অক্টোবর থেকেই বদলি চালু করতে চাই। এজন্য একটি সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে।

কতদিনের মধ্যে সফটওয়্যার তৈরি করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো—মে থেকে জুন মাসের মধ্যে বদলির সফটওয়্যার তৈরি করা। সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের একটি উইংকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ১১ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী- শুধু মাউশির মহাপরিচালক (ডিজি) পারস্পরিক বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল সফটওয় য র ত র শ ক ষকদ র বদল বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দাবি করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নীতিমালা ২০২৪ এর আওতাভুক্ত জেনারেল শিক্ষকদের নিজ বিষয় ও পদের অনুকূলে যেকোনো অধিদপ্তরে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এ বদলির দাবি জানান তারা 

বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৩২২টি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ৫১৬ টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে অন্তত ৪ হাজার।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলি নীতিমালা ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বদলি নীতিমালার মাধ্যমে জেনেছি, স্ব স্ব অধিদপ্তর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল অধিদপ্তর নির্বিশেষে শূন্যপদে বদলি চালু করা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের সাধারণ শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য (ইনডেক্স) বদলি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করে সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদ/সমস্কেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেওয়া অতীব জরুরি।

তারা বলেন, প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদরাসা ও কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের শুধু নিজস্ব অধিদপ্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি করলে জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হবে। কারণ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের (মাত্র ১২ হাজারের মত) সংখ্যা স্কুল-কলেজের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ। মাদরাসা/কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে এমন বৈষম্য বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের নীতির পরিপন্থি।

বক্তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বদলি নীতিমালা-২০২৪ সংশোধন করে সব বৈষম্য দূর করে মাদরাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে এবং স্কুল-কলেজ থেকে মাদরাসা ও কারিগরিতে যাওয়ার জন্য একই সফটওয়্যারের অথবা ইনডেক্স ট্রান্সফারিং মাধ্যমে দ্রুত বদলির ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছি।

মানবন্ধনে সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক সাকিবুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. শরিফুল, মো. আজাদ, প্রভাষক হুসাইন আলী, মো. আজিজুল হক প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/মেহেদী 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময় বাড়লো
  • বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের