বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “পাট রপ্তানির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। পাট রপ্তানি বাড়াতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসুন, তার জন্য যা প্রয়োজন, সবই করবে সরকার। ৫ বিলিয়ন না হলেও ২ বিলিয়ন ডলারে যেতে হলে কী করা লাগবে, কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে; প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি করব। পাটের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করছি।” 

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মনিপুরী পাড়া জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে পাট অধিদপ্তর আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী (৬ থেকে ১০ মার্চ) বহুমুখী পাটপণ্য মেলা এবং ১৫ দিনব্যাপী (১১ থেকে ২৫ মার্চ) তাঁতবস্ত্র মেলা উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, “কৃষকদের বীজ, সার, পাট পচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও মান উন্নয়নে সহায়তায় ৩৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। শিল্প সহায়তার বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কার্যক্রমে নীতি সহায়তা দিতে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। জেপিডিসির মাধ্যমে ১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোক্তাদের সহায়তায় কাজ করছি। এখানে (জেডিপিসি) একটি বিক্রয়কেন্দ্র করেছি, পাটপণ্যের সমাহার যথেষ্ট পরিমাণে করার চেষ্টা করা হয়েছে।” 

শেখ বশিরউদ্দীন আরো বলেন, “আমরা দেখেছি, কোভিডের পরে পাট শিল্পপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছিল এবং আমরা বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিলাম। কাঁচা পাটের বাজারে একটা অনিয়ন্ত্রিত মূল্য সৃষ্টি হলো, ২ হাজার টাকার পাট ৭ হাজার টাকা হলো।  ফলে, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে সরে যেতে শুরু করেন। এই সরে যাওয়ার ফলে উদ্যোক্তারা দুই-তিন বছর ধরে সমস্যা ভোগ করে আসছেন। এর পরিত্রাণ দরকার।” 

অনুষ্ঠানের সভাপতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

আব্দুর রউফ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পাটপণ্যের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কম ঋণসুবিধাসহ এ খাতে অন্যান্য  সমস্যার কথা তুলে ধরেন। 

উদ্বোধনের পর উপদেষ্টা মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন—পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিন্নাত আরা, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ সিদ্দিকী, রেশম বোর্ডের পরিচালক এম এ মান্নান, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব বিমল চন্দ্র রায়, জুট স্পিনার অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তাপস প্রামাণিক, বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান, এ এন এম মঈনুল ইসলাম, সুব্রত শিকদার প্রমুখ। 

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিবাহবিচ্ছেদের পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন চাহাল

এ বছরের মার্চে পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন ভারতের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ইউটিউবার–অভিনেত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর। ভারতের ইউটিউবার রাজ শামানির সঙ্গে পডকাস্টে সংসার ভাঙা নিয়ে কথা বলেছেন চাহাল।

ভারতের হয়ে ২০২৩ সালে সর্বশেষ খেলা এই লেগ স্পিনার জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরেই তাঁর ও ধনশ্রীর মধ্যে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না। তবু তাঁরা এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগপর্যন্ত ব্যক্তিগত জীবনের ঝামেলা সামনে নিয়ে আসেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যান এবং একপর্যায়ে আত্মহত্যা করার কথাও ভাবেন।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১ ঘণ্টা আগে

ভারতের হয়ে ৭২ ওয়ানডে ও ৮০ টি–টোয়েন্টি খেলা চাহালের কাছে রাজ শামানি জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কী কারণে তাঁদের সম্পর্কটা ভেঙে গেল? ৩৫ বছর বয়সী চাহালের উত্তর, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা ব্যাপারটা সামনে আনব না।’

২০১৬ সালের জুনে ভারতের হয়ে অভিষেক চাহালের। চার বছর পর ধনশ্রীকে বিয়ে করেন তিনি। চাহাল জানিয়েছেন, জাতীয় দলে হয়ে খেলায় তাঁর ব্যস্ত হয়ে পড়া এবং ধনশ্রীরও নিজ ক্যারিয়ার নিয়ে মনোযোগী হয়ে পড়ায় কেউ কাউকে সময় দিতে পারেননি। সাংসারিক ঝামেলার এটাই মূল কারণ বলে মনে করেন চাহাল।

যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ