পাট রপ্তানির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি কাঙ্ক্ষিত নয়: উপদেষ্টা
Published: 6th, March 2025 GMT
বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, “পাট রপ্তানির ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। পাট রপ্তানি বাড়াতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসুন, তার জন্য যা প্রয়োজন, সবই করবে সরকার। ৫ বিলিয়ন না হলেও ২ বিলিয়ন ডলারে যেতে হলে কী করা লাগবে, কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে; প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি করব। পাটের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করছি।”
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মনিপুরী পাড়া জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে পাট অধিদপ্তর আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী (৬ থেকে ১০ মার্চ) বহুমুখী পাটপণ্য মেলা এবং ১৫ দিনব্যাপী (১১ থেকে ২৫ মার্চ) তাঁতবস্ত্র মেলা উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, “কৃষকদের বীজ, সার, পাট পচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও মান উন্নয়নে সহায়তায় ৩৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। শিল্প সহায়তার বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কার্যক্রমে নীতি সহায়তা দিতে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। জেপিডিসির মাধ্যমে ১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোক্তাদের সহায়তায় কাজ করছি। এখানে (জেডিপিসি) একটি বিক্রয়কেন্দ্র করেছি, পাটপণ্যের সমাহার যথেষ্ট পরিমাণে করার চেষ্টা করা হয়েছে।”
শেখ বশিরউদ্দীন আরো বলেন, “আমরা দেখেছি, কোভিডের পরে পাট শিল্পপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছিল এবং আমরা বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিলাম। কাঁচা পাটের বাজারে একটা অনিয়ন্ত্রিত মূল্য সৃষ্টি হলো, ২ হাজার টাকার পাট ৭ হাজার টাকা হলো। ফলে, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে সরে যেতে শুরু করেন। এই সরে যাওয়ার ফলে উদ্যোক্তারা দুই-তিন বছর ধরে সমস্যা ভোগ করে আসছেন। এর পরিত্রাণ দরকার।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
উদ্বোধনের পর উপদেষ্টা মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন—পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিন্নাত আরা, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমেদ সিদ্দিকী, রেশম বোর্ডের পরিচালক এম এ মান্নান, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব বিমল চন্দ্র রায়, জুট স্পিনার অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তাপস প্রামাণিক, বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান, এ এন এম মঈনুল ইসলাম, সুব্রত শিকদার প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি