Risingbd:
2025-09-18@08:03:56 GMT

নতুন অস্ত্র তৈরি করছে ইরান

Published: 6th, March 2025 GMT

নতুন অস্ত্র তৈরি করছে ইরান

ইরানের সেনাবাহিনী এবং ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস গত তিন মাস ধরে বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ায় নতুন প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক অস্ত্র প্রদর্শন ও পরীক্ষা করছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো এবং সামরিক স্থাপনাগুলিতে বোমা হামলার হুমকির মধ্যে দেশটি আরও একটি অস্থির বছরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজায় ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরায়েলের উপর তৃতীয়বারের মতো বড় সামরিক হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে। একতেদার, জোলফাকার এবং গ্রেট প্রফেট - এই মহড়াগুলো ইরান, ওমান সাগর এবং উত্তর ভারত মহাসাগরজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অস্ত্র পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে, ইরান ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের প্রতি তার অবাধ্যতা বজায় রাখতে চায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির অধীনে তার সাথে আলোচনা করতে অস্বীকার করছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।

আইআরজিসি তিনটি প্রধান ভূগর্ভস্থ সামরিক ঘাঁটি উন্মোচন করেছে। কমান্ডাররা জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই ঘাঁটিকে ‘ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি’ বলে অভিহিত করেছে। এই ঘাঁটির ভেতরে কয়েক ডজন ব্যালিস্টিক প্রজেক্টাইল দেখা যাচ্ছিল।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে:

খোররামশাহর-৪, একটি তরল জ্বালানি রকেট যার পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার, তরল জ্বালানি রকেট জাহাদ, যা ওয়ারহেড সহ এক হাজার কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পর্যন্ত যেতে পারে, কঠিন জ্বালানি-চালিত রকেট এল৩৬০,  যা 150 কেজি বিস্ফোরক বহন করে ১৮০ কিলোমিটার  যেতে পারে এবং দুই-পর্যায়ের রকেট কদর,   যা দুই কিলোমিটার দূর আঘাত হানতে পারে।

ইরান একটি মহড়ার অংশ হিসেবে শত্রুপক্ষের ড্রোনকে আটকাতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি নতুন রাশিয়ান তৈরি ইয়াক-১৩০ ব্যবহার করেছিল। ইরান দীর্ঘদিন ধরে অর্ডার করেও পায়নি এমন উন্নত সুখোই-৩৫ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মস্কো থেকে সাবসনিক দুই আসনের ইয়াক-১৩০ জেটটি সরবরাহ করা হয়েছিল।

রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াও ইরানের কাছে নিজেদের তৈরি বাভার-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এটি ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম। ইরানের অস্ত্রাগারে বছরের পর বছর ধরে থাকা আরো বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৫-খোরদাদ, মাজিদ, আরমান, জুবিন এবং তোন্ডার।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ