পল্টনে আটক সেই ব্যক্তিকে ছাড়ালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
Published: 7th, March 2025 GMT
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়া তাহরীরের এক সদস্যকে মারতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
এ ঘটনার পর সেই রিকশচালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেই খবর শুনে তাকে ছাড়িয়ে আনেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিএমপির মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই রিকশাচালকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
রিকশাচালককে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি উপদেষ্টা আসিফ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ছাড়া পাওয়া ওই ব্যক্তি বায়তুল মোকাররম এলাকায় পানি সরবরাহ করে থাকেন।
এর আগে শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর।
জুমার নামাজের পরপরই পল্টন এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। বিজয়নগরের দিকে মিছিলটি অগ্রসর হলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এর আগে প্রায় ১৫ মিনিট এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। এরপর পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে হিযবুত তাহরীরের কর্মীরা।
এরপর তারা আবার একত্র হয়ে মিছিল শুরু করার চেষ্টা চালায়। তখন আবার কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় হিযবুত তাহরীরের কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
এক দিনেই কত কীর্তি গড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তাঁকে ছেড়ে একা আর সংবাদ সম্মেলনে আসতে চাইলেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
মিরাজ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর ফটোগ্রাফারদের আবদার মেটাতে ব্যস্ত বলে কিছুটা অপেক্ষাও করলেন। এরপর মিরাজের তাড়া ছিল নামাজে যাওয়ারও, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শেষে তাই একরকম দৌড়ে যান ড্রেসিংরুমে।
এর আগে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেছেন ছয়জনকে। মিরাজ দিনের শুরুটা করেছিলেন ব্যাটিংয়ে, শেষটা করেছেন বোলিংয়ে। ব্যাটিং, বোলিং মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে একটার পর একটা রেকর্ড গড়েছেন মিরাজ।
ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেছেন, সেঞ্চুরির পথে দুই হাজার রানের মাইলফলক ছুয়েছেন; দুই শ উইকেট আর দুই হাজার রানের কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন সাকিবের পাশে, যদিও ম্যাচ একটি কমও খেলেছেন।
আবার বল হাতে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। একই ম্যাচে সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটের কীর্তিতে সাকিব আর সোহাগ গাজীর সঙ্গে এখন তাঁর নামও। এত সব কীর্তি গড়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ বললেন, ‘শুরুতে আমি দুইটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’ ওই দুটি ধন্যবাদই ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য।
বিসিবির কোচ মিজানুর রহমানকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ‘অনেক দিন ধরে কাজ করা’ ব্যাটিংয়ে উন্নতিতে অবদানের জন্য। মিরাজের পরের কৃতজ্ঞতাটা শুনুন তাঁর মুখেই, ‘আমাদের দলের যে ম্যানেজার আছেন, নাফিস ইকবাল ভাই আমাকে সব সময় বুস্টআপ করে। আজকেও যখন ব্যাটিংয়ে যাচ্ছিলাম, বারবার একটা কথা বলছিল, মিরাজ, তুই কিন্তু প্রপার ব্যাটসম্যান, তোর কিন্তু এক শ আছে। দুইটা মানুষকে (মিজান ও নাফিস) অবশ্যই মনের ভেতর থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
কিন্তু মিরাজের সব কীর্তি তো আর ব্যাটিংয়ে নয়। বোলিংয়েও ৫ উইকেট পেয়েছেন। সিলেটে আগের ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন ১০টি। এ কৃতজ্ঞতাও একজনের জন্য রাখলেন মিরাজ, ‘বোলিংটা খুব ভালো হয়েছে। বোলিং তো আমার দলের সঙ্গেই আছে, আমার গুরু যে সোহেল ইসলাম (জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ)। অবশ্যই এই তিনটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
ধন্যবাদ দেওয়ার সংখ্যাটা তিনে গিয়েই থামেনি মিরাজের। আজকে যে তিনি সেঞ্চুরিটা পেলেন, তাতে তো অবদান আছে তাঁর সঙ্গীদেরও। তাইজুল ইসলাম ৪৫ বলে ২০, তানজিম হাসান ৮০ বলে ৪১ আর রান না করতে পারলেও হাসান মাহমুদ ১৬ বল খেলেছেন বলেই না সেঞ্চুরি করার সময়টা পেলেন মিরাজ।
একসময় সেঞ্চুরিটাকে ‘কপালের ওপর’ ছেড়ে দেওয়া মিরাজ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদেরও, ‘হাসান অনেক ভালো সমর্থন দিয়েছে, তানজিমও অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে, তাইজুল ভাইও। আমি অবশ্যই এই তিনজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওরা যেভাবে আমাকে সমর্থন দিয়েছে, ওদের জন্যই আমি এক শ করতে পেরেছি।’