রাজধানীতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় গ্রেপ্তার ১
Published: 7th, March 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার আদাবরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম বিধান চন্দ্র দাস। তিনি আদাবরের স্থানীয় একটি সেলুনের কর্মচারী। আজ শুক্রবার বিকেলে নাজমুল হাসান খন্দকার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর আদাবর থানায় মামলা করেন।
এসআই সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ থেকে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার নাজমুল হাসান খন্দকার নামের এক ব্যক্তি আদাবর থানার শেখেরটেকের একটি সেলুনে চুল কাটাতে যান। এ সময় নানা বিষয়ে কথার একপর্যায়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.
এসআই সোহেল রানা আরও বলেন, আটকের পর বিধানের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার দাবিতে স্থানীয় একদল লোক থানার সামনে অবস্থান নেন। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তখন তাঁরা থানা চত্বর ছেড়ে চলে যান।
বিকেল ৪টার দিকে যোগাযোগ করা হলে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বিধানের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নাজমুল হাসান খন্দকার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় রাজবাড়ী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই অভিযোগের আরেক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। আগে দীর্ঘদিন তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ছয়বারের এই সংসদ সদস্য ২০১৮ সালে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রাজবাড়ী আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিকাঈল হোসেন কাজী কেরামত আলীকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দায়ের হওয়া আরেকটি মামলায় কাজী কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এনায়েত শিকদার। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন।