গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে নতুন ধারণা দিলেন এনসিপির নেতা সামান্তা
Published: 10th, March 2025 GMT
গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে—সম্প্রতি সদ্য আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এমন প্রস্তাব রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে। এই আলোচনার মধ্যে গত শনিবার দুপুরে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, এ বিষয়ে কোনো জাতীয় ঐক্য হয়তো হবে না।’ তবে সালাহ উদ্দিন আহমদের এই কথাকে এ ব্যাপারে দলটির শেষ কথা বলে মনে করছে না এনসিপি।
আরও পড়ুনকথা পরিষ্কার, এখানে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না : সালাহ উদ্দিন০৮ মার্চ ২০২৫নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে এখনো অটল অবস্থানে আছে এনসিপি। অবশ্য তরুণদের নতুন এই দলটির নেতারা এখন বলছেন, একসঙ্গে গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারণাটি তাঁরা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এনসিপি এখন নতুন একটি চিন্তা সামনে আনতে চাইছে। তারা বলছে, গণপরিষদ নির্বাচনে যাঁরা জিতে আসবেন, সংবিধান প্রণয়নের পর গণপরিষদ আইনসভায় রূপান্তরিত হয়ে যাবে। গণপরিষদের সদস্যরা আইনসভা তথা সংসদের সদস্য হয়ে যাবেন। এমনটা হলে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুনগণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি০৪ মার্চ ২০২৫২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। নেতাদের ৪ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ঢাকার রায়েরবাজারে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন রায়েরবাজারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে। গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। এর মাধ্যমেই নতুন কাঠামো ও নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’ এরপর ৬ মার্চ রয়টার্সে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেন, গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। তিনি মনে করেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা বলেছিলেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ছাড়া সড়ক সংস্কার সম্ভব নয়’
সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ছাড়া সড়ক সংস্কার সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির সভাকক্ষে গ্লেবাল সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ-বিষয়ক তরুণদের জন্য কর্মশালায় এই দাবি উঠে আসে।
তরুণরা বলেন, দেশে রোডক্র্যাশে (সড়ক দুর্ঘটনা) আহত ও নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতিতে রোডক্র্যাশে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির প্রায় ২.৫ শতাংশ।
আরো পড়ুন:
সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নবদম্পতি নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা পরিষদের প্রকৌশলী নিহত
অন্যদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৫-২৯ বছর বয়সিদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ রোডক্র্যাশ। তাই রোডক্র্যাশ রোধে সড়ক নিরাপত্তায় সংস্কার ভাবনা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে। এই সংস্কার কাজের মধ্যে সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নীতিমাল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
আহ্ছানিয়া মিশনের অ্যাডভোকেসি অফিসার মনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানের উপস্থিতিতে কর্মশালায় বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশেনের সাধারাণ সম্পাদক ইশতিয়াক ইমন সড়কে গতিসংক্রান্ত সেশন পরিচালনা করেন। পাশাপশি আহ্ছানিয়া মিশনের প্রকল্প সমন্বয়কারি শারমিন রহমান সড়ক নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তরুণদের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন ইয়ুথ ফোরামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রাসেল