পঞ্চম শ্রেণি-বাংলা : ‘এই দেশ এই মানুষ’ প্রবন্ধের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
Published: 11th, March 2025 GMT
৪. সঠিক বহুনির্বাচনিতে টিক চিহ্ন দাও।
১. মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কয়টি?
ক. একটি খ. দুটি
গ. তিনটি ঘ. চারটি
২. রাজবংশীদের বসবাস কোন জেলায়?
ক. রাজশাহীতে খ. পাবনায়
গ. জামালপুরে ঘ. কুমিল্লায়
৩. সাংগ্রাই ও বিজু কাদের উৎসব?
ক. চাকমা ও গারো খ. রাখাইন ও চাকমা
গ. গারো ও রাখাইন ঘ. মুরং ও গারো
৪. বাংলাদেশের মানুষের জনজীবন কেমন?
ক.
গ. সাধারণ ঘ. কঠিন
৫. হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কোনটি?
ক. লক্ষীপূজা খ. বৌদ্ধ পূর্ণিমা
. দূর্গাপূজা ঘ. রথ উৎসব
৬. দেশটা আমাদের কাছে কিসের মতো?
ক. বন্ধুর মতো খ. প্রকৃতির মতো
গ. মায়ের মতো ঘ. মাটির মতো
৭. দেশ আমাদের কী দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে?
ক. আলো ও বাতাস খ. বাতাস ও পানি
গ. পানি ও আলো ঘ. আলো, বাতাস ও সম্পদ
৮. বৌদ্বদের সবচেয়ে বড় উৎসব কোনটি?
ক.দূর্গাপুজা খ. বৌদ্ধপূর্ণিমা
গ. ইস্টারসানডে ঘ. লক্ষীপূজা
৯. বাংলাদেশের কোনটি ভারি বৈচিত্রময়?
ক. প্রকৃতি খ. জীবন
গ. আবহাওয়া ঘ. প্রকৃতি ও জনজীবন
১০. ইস্টার সানডে ও বড়দিন উৎসব কারা পালন করে থাকে?
ক. চাকমারা খ. হিন্দুরা
গ. বৌদ্ধরা ঘ. খ্রিষ্টানরা
উত্তর : ১. খ ২.গ ৩. খ ৪. খ ৫. গ ৬. গ ৭. ঘ ৮.খ ৯.ঘ ১০.ঘ
৫. নিচের অনুচ্ছেদ অবলম্বনে ৩টি প্রশ্ন তৈরি করি।
দেশ মানে এর মানুষ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র—এই সব। দেশ হলো মায়ের মতো। মা যেমন আমাদের স্নেহ-মমতা, ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন, দেশও তেমনই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এ দেশকে আমাদের ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।
উত্তর
অনুচ্ছেদ অবলম্বনে ৩টি প্রশ্ন দেওয়া হলো—
১. ‘দেশ’ মানে কী?
২. কেন দেশকে ভালোবাসতে হবে ?
৩. আমাদের জীবন কীভাবে সার্থক হয়ে উঠবে?
৬. বিপরিত শব্দ জেনে বাক্য তৈরি করি।
বাঙালি– অবাঙালি, বন্ধু–শত্রু, দেশ– বিদেশ, সার্থকতা–ব্যর্থতা
উত্তর
ক. আমাদের বাংলাদেশের বাইরেও অনেক—— আছে।
খ. আমরা সবাই পরস্পরের——।
গ. —— হলো মায়ের মতো।
ঘ. আমাদের— — যে আমরা এদেশে জন্মেছি।
৭. নিচের বাক্য পড়ে পদ বের করি।
মনির খুব ভালো ছেলে। রবিন তার বন্ধু। মনির ও রবিন একত্রে মাঠে খেলে।
উত্তর
এখানে—
মনির, রবিন—বিশেষ্য পদ
খুব ভালো—বিশেষণ পদ
তার—সর্বনাম পদ
ও—অব্যয় পদ
খেলে—ক্রিয়া পদ।
লেখক: খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু