এটা কোনো সুস্থ, স্বাভাবিক সমাজের চিত্র নয়: বিবৃতি
Published: 12th, March 2025 GMT
নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি বলেছে, দেশে নারী ও কন্যার প্রতি যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পাশাপাশি নানা অজুহাতে নারীর প্রতি বিদ্বেষ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পথেঘাটে যত্রতত্র নারী শারীরিক, মানসিক ও যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছেন; যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা কোনো সুস্থ, স্বাভাবিক সমাজের চিত্র নয়।
আজ বুধবার কমিটির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংঘবদ্ধ নারীবিরোধী তৎপরতা, নারীকে হেনস্তা, নারীবিদ্বেষ এবং মব–সন্ত্রাসের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দায়িত্বশীল মহল থেকে সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুক্ত করার ব্যাপারে নানা ধরনের অপতৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির পক্ষে কমিটির চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, আহ্বায়ক ফওজিয়া মোসলেম ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার ১০৯ জন এতে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
সুলতানা কামাল, রশিদ-ই-মাহবুব, এস এম এ সবুর, লতিফা সামসুদ্দিন, মফিদুল হক, মাহবুব জামান, শামসুল হুদা, এম এম আকাশ, মাখদুমা নার্গিস, নাজমুন নাহার, রেখা চৌধুরী, রওশন আরা বেগম, সাহানা কবির, মালেকা বানু, নাসিমুন আরা হক মিনু, তানিয়া হক, ঈশানী চক্রবর্তী, আমিনুল ইসলাম, চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সীমা মোসলেম, মাসুদা রেহানা বেগম, রেখা সাহা, হুমায়রা খাতুন, সামিনা চৌধুরী, নাজমা আরা বেগম, মাকছুদা আখতার লাইলী, দীপ্তি রানী শিকদার, সোহরাব হাসান, অশোক কর্মকার প্রমুখ কমিটির পক্ষে সংহতি প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু