নতুন পরিচয়ে আইপিএলে ফিরলেন চেতন সাকারিয়া। ভারতের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে খেলা এই বাঁহাতি পেসার এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেট বোলার। সেটিও মাত্র দুই লাখ রুপিতে।

অথচ এই আইপিএলেই ২০২২ সালে সাকারিয়ার দাম উঠেছিল ৪ কোটি ২০ লাখ রুপি। পরের মৌসুমেও দিল্লিতে খেলেন একই দামে। চোট আর ছন্দহীনতায় সেই পেসারের মূল্যই এখন মাত্র দুই লাখ রুপি!

ভারতীয় ক্রিকেটে সাকারিয়ার আবির্ভাব হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। ১৪ ম্যাচে রাজস্থানের হয়ে উইকেট নিয়েছিলেন ১৪টি। বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তাঁর জুটি অনেক ব্যাটসম্যানকেই সেই আইপিএলে ভুগিয়েছিল।

মোস্তাফিজও সেই মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন। ওই মৌসুমের পারফরম্যান্স সাকারিয়াকে ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দেয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই সিরিজে ভারত মূল দল খেলায়নি। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন শিখর ধাওয়ান।

ভারতের জার্সিতে সাকারিয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে দুই দফা দাবি উত্থাপন করে দুই কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্পষ্ট বিবৃতি চান তাঁরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এ প্রশাসন আমরা এনেছি। যদি আপনারা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারেন, আপনাদের আমরা গাড়িতে তুলে দিতে বাধ্য হব। এ প্রশাসন ক্যাম্পাসে গত এক বছরে কিছুই করতে পারেনি। ছয় মাস পার হলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। হচ্ছে, হবে কিংবা প্রক্রিয়ায় আছে—এসব কথা আর বলা যাবে না। যদি কাজ করতে না পারেন, আপনারা চলে যাবেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘কোনো অছাত্র, বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। যাদের ছাত্রত্ব আছে, তাদের দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের অতি শিগগিরই সম্পূরক বৃত্তি দিতে হবে। আমরা আর কোনো অজুহাত শুনব না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনকে রোডম্যাপ ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে। যদি জকসু না হয়, দ্বিতীয়বার আন্দোলনের ডাক আসবে। আপনাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সে আন্দোলন আপনারা সামাল দিতে পারবেন না।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যেসব প্রতিনিধি আসবেন তাঁরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। তাঁরা নির্ধারণ করবেন শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবেন, কীভাবে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ