অব্যাহত ধর্ষণ, খুন, নৈরাজ্য প্রমাণ করে দেশ চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার: সিপিবি
Published: 14th, March 2025 GMT
সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, খুন, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস প্রমাণ করে দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে—এ কথা বলেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। তিনি বলেছেন, মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু লজ্জিত ও অপরাধী করে দেয়। রক্তাক্ত অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘটনা, এমন মৃত্যু কীভাবে ঘটে চলেছে?
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে রুহিন হোসেন এ কথা বলেন। ‘খুন, ধর্ষণ, নিপীড়ন: রুখে দাঁড়াও জনগণ’ শিরোনামে এই সমাবেশের আয়োজন করে সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি।
রুহিন হোসেন বলেন, শুধু নতুন রাজনৈতিক দলকে উৎসাহ দিলেই গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে না। মব সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে রহস্যময় নির্লিপ্ততা, উদ্যোগ গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
অবিলম্বে ন্যূনতম সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে, জনগণের ম্যান্ডেটে সরকার গঠন না হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না, অব্যাহত নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না এবং গণমানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সাজেদুল হক। তিনি বলেন, মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। সরকার খুন, ধর্ষণ কিংবা মব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের নাকের ডগায় মব সন্ত্রাস চলছে।
ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরে সোমবার রাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি তার ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুলোধুনো করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন।
লিবারেলদের এই বিজয় এক অলৌকিক রাজনৈতিক পুনরুত্থান এবং কার্নির জন্য একটি যুগান্তকারী বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কারণ কার্নির পূর্বসুরি জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের ওপর সমর্থন তুলে নিয়েছিল জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থি নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি। এর পর গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ করে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে লিবারেল পার্টির ২১ এমপি ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানান। জনগণের চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ট্রুডো। পরে ঘোষণা আসে আগাম নির্বাচনের।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়েও হুমকি দিতে ছাড়েননি তিনি। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।
কার্নি তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ট্রাম্প “আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিক হয়। তবে এটা কখনও হবে না।”
তিনি বলেন, “আমেরিকান বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমরা কখনই শিক্ষা ভুলব না।”
নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদিও আমরা সরকারকে জবাবদিহি করার এবং আরও ভালো বিকল্প প্রস্তাব করার আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করব, তবুও আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এবং অন্যান্য দায়িত্বজ্ঞানহীন হুমকি উপেক্ষা করার সময় কানাডাকে সবসময় প্রথমে রাখব।”
দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “রক্ষণশীলরা বিতর্কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আমরা সারা দেশে আমাদের জনগণের জীবন উন্নত করার জন্য সর্বোত্তম যুক্তিগুলো তুলে ধরতে থাকব।”
ঢাকা/শাহেদ