পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, শ্বশুর গ্রেপ্তার
Published: 16th, March 2025 GMT
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আহসান উল্যাহ একই ওয়ার্ডের মৃত আলী আহমদের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী দুবাইপ্রবাসী। তিনি সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন। শ্বশুর আহসান উল্যাহ বিভিন্ন সময় পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দিতেন। ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও তারা কোনো সুরাহা করেননি।
গত ১০ মার্চ রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী নারী নিজ কক্ষে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে শ্বশুর কৌশলে পুত্রবধূর কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি তার স্বামী-শাশুড়িকে জানান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, শনিবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। আর ওই গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ত রবধ
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ