নরসিংদীতে পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
Published: 17th, March 2025 GMT
নরসিংদীর বেলাবতে পোশাককর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বেলাব থানায় মামলাটি করেন।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম দেলোয়ার হোসেন (৩২)। তিনি বেলাব উপজেলার বেলাব গ্রামের মাটিয়াল পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। আরেক আসামি দক্ষিণ বটেশ্বর গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে শাহজাহান মিয়া (৩৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বেলাব উপজেলার ওই নারী তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে শিবপুর উপজেলায় ভাড়া বাসায় থাকেন। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি সেখানকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ওই নারীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রায়ই শাহজাহানের কথা হতো। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শাহজাহান তাঁকে বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান। বাসস্ট্যান্ডের কাছেই একটি এনজিও অফিসকক্ষে নিয়ে শাহজাহান ও এনজিওর কর্মচারী দেলোয়ার তাঁকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে বেলাব থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। দেলোয়ার নামের ওই আসামিকে শনাক্ত করেন তিনি। পরে দেলোয়ারকে থানায় আনা হয়।
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই নারীর দেওয়া লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।