ইকোট্যুরিজম পার্ক করতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) দেওয়া সোনাদিয়া দ্বীপের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার একর বনভূমি আট বছর পর আবার ফিরে পাচ্ছে বন বিভাগ। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার দ্বীপটিকে এবার রক্ষিত এলাকা হিসেবে সংরক্ষণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে। এতে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেজার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ হাজার একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং) শাহীন আক্তার কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

আরও পড়ুনসোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ২৯ আগস্ট ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হস্তান্তরের এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইকোপার্কের জন্য দেওয়া জমিতে গাছ কাটা, চিংড়ির ঘের নির্মাণসহ পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রমে দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সেখানে পরিবেশ–প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেবে।

আরও পড়ুনসোনাদিয়া দ্বীপে ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের ইজারা চুক্তির কার্যক্রম স্থগিত২৬ নভেম্বর ২০২৪

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সোনাদিয়া দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে দখলমুক্ত করা; খালের মুখ ও শাখা-প্রশাখার বাঁধ অপসারণ করে জোয়ারের পানি প্রবেশ সুগম করা; বালিয়াড়ি পুনরুদ্ধার ও বিচ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া এবং ম্যানগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ, কাউ, কেয়া, নিশিন্দা, নারকেল, তালগাছের চারা রোপণ করা হবে।

আরও পড়ুনপ্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর সোনাদিয়া দ্বীপে এখন শুধু প্লাস্টিক বর্জ্য০৮ জানুয়ারি ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ