২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে চলতি মাসে উরুগুয়ে এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আজ লিওনেল মেসিকে ছাড়াই ২৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।

মেসির অনুপস্থিতির সম্ভাব্য কারণ চোট। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে মেজর লিগ সকারে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ২–১ গোলে জয়ের ম্যাচে বাঁ ঊরুতে ব্যথা পান মেসি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঊরুর মাংসপেশিতে টান পেয়েছেন মেসি। সুস্থ হয়ে উঠতে যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবেন।

আরও পড়ুন‘তরুণ’ মেসিকে ফেরালেন ‘বুড়ো’ মেসি, পিছিয়ে পড়েও জয় মায়ামির১৪ ঘণ্টা আগে

তবে মেসির অনুপস্থিতির কারণ জানায়নি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচের জন্য ২ মার্চ ঘোষিত স্কালোনির প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন। ফিটনেস নিয়ে তখনো সমস্যায় ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। মায়ামির হয়ে এ মাসে হিউস্টন ডায়নামো, ক্যাভেলিয়ার এসসি ও শার্লট এফসির বিপক্ষে খেলেননি। মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো ঝুঁকি এড়াতে ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’ এর অংশ হিসেবে মেসিকে সাইডলাইনে রেখেছেন।

আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে মন্টেভিডিওতে স্বাগতিক উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এরপর ২৬ মার্চ বুয়েনস এইরেসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে স্কালোনির দল। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ে ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উরুগুয়ে। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাজিল টেবিলের পাঁচে। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ ছয় দল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে। সপ্তম দলটিকে খেলতে হবে প্লে অফ।

আরও পড়ুনসাকিব ‘মেগাস্টার’, আমি ওই পর্যায়ে যাইনি: বললেন হামজা৩ ঘণ্টা আগে

মেসির পাশাপাশি পাওলো দিবালা, গঞ্জালো মন্তিয়েল ও জিওভানি লো সেলসোও এ দুটি ম্যাচের জন্য স্কালোনির স্কোয়াডের বাইরে রয়েছেন। দিবালা ও মন্তিয়েল চোটে ভুগছেন। লো সেলসোর জায়গা হয়নি কৌশলগত কারণে। আটলান্টার বিপক্ষে আজ ম্যাচের ২০ মিনিটে চোখধাঁধানো এক গোল করেন মেসি। এপি জানিয়েছে, এর কিছুক্ষণ পরই তিনি ঊরুতে চোট পান।

মায়ামির হয়ে তিনটি ম্যাচে অনুপস্থিতির পর গত বৃহস্পতিবার কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলো ফিরতি লেগে মাঠে ফেরেন মেসি। আটলান্টার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই তাঁকে খেলান মায়ামি কোচ মাচেরানো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে

সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।

অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ  ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।

একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের  প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে,  মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে
  • প্রধান উপ‌দেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়া‌তে ইসলামী
  • ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
  • নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি
  • ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে আনচেলত্তির ব্রাজিল
  • প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে