Samakal:
2025-08-01@17:51:33 GMT

ঈদে টিভি পর্দায় ‘তুফান’

Published: 19th, March 2025 GMT

ঈদে টিভি পর্দায় ‘তুফান’

ঈদ আয়োজনে টিভি পর্দায় দেখানো হয় তারকাবহুল সিনেমা। এরই ধারাবাহিকতায় দীপ্ত টিভিতে ঈদের দ্বিতীয় দিন দুপুর ১টায় ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার হবে রায়হান রাফির পরিচালনায় ‘তুফান’। এটি ২০২৪ সালের ঈদে সারাদেশ মুক্তি পেয়েছিল। ব্যাবসা সফল সিনেমার তালিকায় এর নাম উঠে আসে। সিনেমায় ব্যবহৃত ‘লাগে উড়া ধুরা’, ও ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটি এখনও শ্রোতাদের মুখে ফেরে। এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা, চঞ্চল চৌধুরী প্রমুখ। 

গালিব বিন গণি, যা পরে তুফান নামে পরিচিত, দুঃখজনক পরিস্থিতিতে জন্মগ্রহণ করেন কারণ তার মা প্রসবের সময় মারা যান। অলোকদিয়া গ্রামে তার বাবা গনি মিয়া একজন কুখ্যাত জমি হানাদার শেনাওয়াজের বিরুদ্ধে দাড়ায়। শেনাওয়াজ গনি মিয়াকে হত্যা করে, যুবক তুফান তখন শেনাওয়াজকে শিরশ্ছেদ করে তার পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়, ফলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রভাবশালী গ্যাংস্টার বশির পুলিশদেরকে গালিবকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ঘুষ দেয় এবং তাকে তার কাছে রেখে দেয়। অবশেষে তুফান, বশিরকে হত্যা ও  বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং বশিরের প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যোগ দেয়। পরে তাকেও বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে। ক্ষমতা ও সম্পদের জন্য উচ্চাভিলাষী, তুফানকে রাজনীতিতে প্রবেশের পরামর্শ দেওয়া হয়। এগিয়ে যায় গল্প। 

‘তুফান’ছাড়াও একই চ্যানেলে মুহম্মদ মোস্তাফা কামাল রাজের ‘ওমর’ ও ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’।  

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’

এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্‌স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ