প্রথমবার গান গাইলেন সিয়াম, দ্বৈত এই গানে সহশিল্পী হিমি
Published: 19th, March 2025 GMT
নাটকের অভিনয়শিল্পী জান্নাতুল হিমি ছোটবেলা থেকে ছায়ানটে নজরুলসংগীতে তালিম নিয়েছেন। বরেণ্য শিল্পী ফেরদৌস আরার কাছেও গানের তালিম নেন। তবে হাতেখড়ি হয় সাধনা মিত্রের কাছে। অন্যদিকে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ কখনোই গান শেখেননি। হিমি এর আগে নাটকের জন্য গান গেয়েছেন। সিয়ামকে কখনো কোনো গানে পাওয়া যায়নি। নাটক ও চলচ্চিত্রের এই দুই তারকাকে এবার এক গানে পাওয়া যাবে। দ্বৈত কণ্ঠের এই গানটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত হবে। এরই মধ্যে গানটির রেকর্ডিং এবং দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে।
গানটি নিয়ে সিয়াম বললেন, ‘আমি জীবনে কোনো দিন গান গাইতাম না। হানিফ সংকেত ও কবির বকুল ভাই যদি আমাকে তাগাদা না দিতেন। আমি গানের মানুষ না। আমি ভালো গান গাই না। কিন্তু তারপরও তাঁরা দুজন বলেছেন, এটা তোমার দর্শকদের জন্য ঈদ উপহার, তাই গানটা গেয়েছি।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল