তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
Published: 19th, March 2025 GMT
ভারতের হিন্দুত্ববাদী নীতির সমর্থনে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের এমন বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত উপস্থাপনা।
ভারতের শাসকশ্রেণির মিডিয়া নিয়মিত বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণের ষড়যন্ত্র করছে ভারত। তুলসী গ্যাবার্ড সেই অপপ্রচারের পালে বাতাস দিয়েছেন।
ভারতে বসে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধানের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে পতিত শেখ হাসিনা সরকার গুলি করে ২ হাজার মানুষকে হত্যা এবং ২০ হাজার মানুষকে আহত, পঙ্গু ও দৃষ্টিহীন করে। সেই ঘটনায় তুলসী গ্যাবার্ডের নীরবতার সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, এতে বোঝার অসুবিধা হয় না যে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার দিল্লির চোখে বাংলাদেশকে দেখার নীতি অবলম্বন করেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরে সোমবার রাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি তার ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুলোধুনো করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন।
লিবারেলদের এই বিজয় এক অলৌকিক রাজনৈতিক পুনরুত্থান এবং কার্নির জন্য একটি যুগান্তকারী বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কারণ কার্নির পূর্বসুরি জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের ওপর সমর্থন তুলে নিয়েছিল জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থি নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি। এর পর গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ করে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে লিবারেল পার্টির ২১ এমপি ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানান। জনগণের চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ট্রুডো। পরে ঘোষণা আসে আগাম নির্বাচনের।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়েও হুমকি দিতে ছাড়েননি তিনি। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।
কার্নি তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ট্রাম্প “আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিক হয়। তবে এটা কখনও হবে না।”
তিনি বলেন, “আমেরিকান বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমরা কখনই শিক্ষা ভুলব না।”
নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদিও আমরা সরকারকে জবাবদিহি করার এবং আরও ভালো বিকল্প প্রস্তাব করার আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করব, তবুও আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এবং অন্যান্য দায়িত্বজ্ঞানহীন হুমকি উপেক্ষা করার সময় কানাডাকে সবসময় প্রথমে রাখব।”
দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “রক্ষণশীলরা বিতর্কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আমরা সারা দেশে আমাদের জনগণের জীবন উন্নত করার জন্য সর্বোত্তম যুক্তিগুলো তুলে ধরতে থাকব।”
ঢাকা/শাহেদ