৯ বছর বয়সে উল্কিশিল্পী, খুলেছে পারলারও
Published: 20th, March 2025 GMT
বয়স মাত্র ৯ বছর। সার্জিক্যাল গ্লাভস পরে তার ছোট্ট হাতে ভারী ট্যাটু গান ধরাটা বেশ কষ্টকর। তবে কম বয়সের এ বাধা তাকে আটকাতে পারেনি। নাপাত মিটমাকোর্ন তার ছোট্ট হাতে একজন পুরুষের ঊরুতে বেশ দক্ষতার সঙ্গে নিবিষ্ট মনে ট্যাটু বা উল্কি আঁকছিল।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ট্যাটু এক্সপোতে নিজের বুথে বসে নাপাত বলছিল, ‘আমি ট্যাটুশিল্পী হতে চেয়েছিলাম। এ জন্য আমি ট্যাটু পারলার খুলেছি। আমি শিল্প পছন্দ করি। সুতরাং আমি উল্কি আঁকা পছন্দ করি।’
এক্সপোতে নাপাতকে নিয়ে সবার বেশ আগ্রহ। সে যখন সেবাগ্রহীতার উল্কি এঁকে দিচ্ছিল, তখন সেখানে অনেকে ভিড় করছেন। অনেকে তার কাজের ভিডিও করছিলেন।
থাইল্যান্ডে উল্কি কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন ঐতিহ্য। দেশটির সব জায়গায় ট্যাটু পারলার দেখা যায়। এসব পারলারে প্রাচীন ও আধ্যাত্মিক উল্কির পাশাপাশি আধুনিক ও নিষিদ্ধ উল্কিও আঁকা হয়ে থাকে।
নাপাতের বাবা নাট্টাবুট স্যাংটঙ্গ বলেন, তাঁর ছেলের আরেকটি ডাকনাম আছে ‘নাইট’। শৈশবেই তিনি ছেলেকে প্রথাগত বিষয়ের বাইরে গিয়ে ট্যাটুশিল্পের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
৩৮ বছর বয়সী নাট্টাবুট বলেন, ‘আমি ছেলেকে কেবল মোবাইল থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলাম। কারণ, সে মোবাইলে গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। অন্য কোনো কিছুর প্রতি তার তেমন মনোযোগ ছিল না।’
নাট্টাবুট নিজেও মোটামুটি উল্কি আঁকতে পারেন। বাবা-ছেলে মিলে টিকটক টিউটোরিয়ালস থেকে উল্কি আঁকার বিষয়টি আরও ভালোভাবে শিক্ষা নেন। সে অনুযায়ী কাগজে-কলমে অনুশীলন শুরু করেন। এরপর তাঁরা মানুষের ত্বকে উল্কি আঁকার আগে কৃত্রিম চামড়ার ওপর উল্কি আঁকার ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।
শিশু নাইট বলে, সে খুব দ্রুত উল্কি আঁকার কৌশল রপ্ত করতে পেরেছিল। কারণ, স্কুলে আঁকাআঁকির বিষয় ছিল তার সবচেয়ে প্রিয়। সন্তানের মেধার স্বীকৃতি দিয়ে নাট্টাবুট বলেন, তাঁর ছেলে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন দুই ঘণ্টা করে এখনো প্রশিক্ষণ নেয়।
নাট্টাবুট বলেন, এটি শুধু উল্কি আঁকার প্রশিক্ষণ নয়, এটি ধ্যানের বিষয়ও। বাবা-ছেলে মিলে টিকটক চ্যানেলও চালান, যার নাম ‘দ্য ট্যাটু আর্টিস্ট উইথ মিল্ক টিথ’। এই চ্যানেলে নাইটের উল্কি করার কাজ সরাসরি দেখানো হয়। প্রতিটি ভিডিওতে বেশ ভালো ভিউ পাওয়া যায় বলে জানান নাট্টাবুট।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?
নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে