রাজধানীর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘চামড়া শিল্পের সংকট : গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউট, হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাসহ রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট, শরিয়তপুর, মৌলভীবাজার, নাটোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা কর্মশালায় অংশ নেন।

চামড়া শিল্পের সংকট নিয়ে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্মশালার পরিচালক ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড.

মো. আব্দুল মুত্তালিব, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার মো. আবুল কাশেম আজাদ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

কর্মশালায় আলোচকরা চামড়া শিল্পের বর্তমান বাস্তবতা, চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে কারিগরি পদক্ষেপসমূহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, প্রচলিত সংবাদ ও প্রত্যাশিত রিপোর্টিং এবং চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে সাংবাদিকের করণীয় বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।

বক্তারা এতিমখানাগুলোকে সম্পৃক্ত করে বিনা সুদে অর্থায়নপূর্বক চামড়া সংগ্রহে উদ্ভাবনী বিজনেস মডেলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সচেতনতা বৃদ্ধি, শিল্পের সংকট সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ও নীতিনির্ধারকদের অবহিত করতে গবেষণাধর্মী রিপোর্ট, নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন, শিল্প উদ্যোক্তাদের মতামত তুলে ধরা, টেকসই উন্নয়ন প্রচার পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্প গড়ে তোলার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ও গবেষণা প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিবেদন তৈরিতে উৎসাহিত করেন বক্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, চামড়া শিল্পের উন্নয়ন ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে, দেশের আপামর জনগণের কল্যাণে প্রশিক্ষণার্থীগণ অবদান রাখবেন। চামড়া শিল্পের প্রকৃত সংকট ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন, এটা আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে থেকে দেশ গঠনে সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে চামড়া সংগ্রহে দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পের সংকট গভীরভাবে বিশ্লেষণপূর্বক বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ করে জনকল্যাণে অনুসন্ধানী রিপোর্ট উপস্থাপিত হবে, এটাই সাধারণের প্রত্যাশা। উত্তম অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে আজকের কর্মশালার সফলতা নির্ভর করবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ। আলোচনায় আরও অংশ নেন পরিচালক ড. মারুফ নাওয়াজ। সঞ্চালনা করেন উপপরিচালক সুমনা পারভীন।

প্রসঙ্গত, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসআইবিই-এনআইএমসি প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
  • বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • জুলাই সনদ নিয়ে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে
  • ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি
  • জামায়া‌তের তিন‌ দি‌নের কর্মসূচি ঘোষণা