আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে শোবিজ অঙ্গন। একে একে মুক্তির ঘোষণা আসছে সিনেমার, যা নিয়ে দর্শকরাও বেশ আনন্দিত। এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’। মুখ্য চরিত্রে এটিই জয়া আহসানের প্রথম ওয়েব সিরিজ।

‘জিম্মি’ নিমাণ করেছেন আশফাক নিপুন। এর আগে ‘মহানগর’ নির্মাণ করে দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তিনি। নিপুন পরিচালিত ‘জিম্মি’ সিরিজের ট্রেলার এসেছে আজ। এতে দেখা গেলো ভিন্ন এক জয়াকে। সেই সঙ্গে একঝলক দেখা দেন অভিনেতা ইরেশ জাকের, শাহরিয়ার নাজিম জয়, শিবলু মৃধাসহ কয়েকজন। 

জয়া আহসান সমকালকে জানান, ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজটি সামাজিক ও বাস্তবসম্মত গল্প। এই গল্পে এমন কিছু বিষয় আছে, যা দর্শককে ভাবাবে। যদিও গল্পটি কোনো শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি নয়, তবুও এতে কিছু ঘটনাপ্রবাহ আছে– যা দর্শকদের সচেতন করবে এবং জীবন সম্পর্কে নতুনভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করবে।

জয় বলেন, ''নাটক, সিনেমা বা ওটিটির যেকোনো গল্পে চরিত্রের নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যা অনেকে অবহেলা করেন। এর আগে 'অন্তরা'তে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গেলেও ‘জিম্মি’ বাংলাদেশে আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ, নিপুনের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ, দারুণ এক গল্পের সিরিজ। সব দিক থেকে এটি আমার কাছে স্পেশাল।”

এর আগে সিরিজটি নিয়ে আশফাক নিপুন বলেন, 'জিম্মি নির্মাণের মাধ্যমে নতুন গল্প বলার চেষ্টা করেছি। এই সিরিজে সামাজিক বাস্তবতা, মানবিক অনুভূতি ও বিনোদনের মেলবন্ধন রয়েছে। এইটুকু বলতে পারি, দর্শক অবশ্যই নতুন কিছু উপভোগ করবে।'

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেলার প্রকাশ করে জয়া বলেন, 'একটা সাধারণ জীবন, একটা সাধারণ স্বপ্ন, একটা মধ্যবিত্ত মেয়ে… আর এক রহস্যময় বাক্স, যা বদলে দিল সব! রুনা লায়লার জন্যে কী অপেক্ষা করছে, মুক্তি নাকি সর্বনাশ?'

ঈদ উপলক্ষে ২৮ মার্চ হইচই-তে আসছে ‘জিম্মি’।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ