কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৬২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বিপিএম।

এ সময় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এ কে এম শহিদুর রহমান, পিপিএম, এনডিসি, মহাপরিচালক, র‌্যাব; মো.

মতিউর রহমান শেখ, অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন); আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, বিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, রেক্টর, পুলিশ স্টাফ কলেজ; মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী, বিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভলপমেন্ট); কাজী মো. ফজলুল করিম, ডিআইজি (অ্যাডমিন), পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স; ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, বিপিএম (সেবা), ডিআইজি; মো. আমিনুল ইসলাম, বিপিএম (বার), ডিআইজি (পুলিশ টেলিকম); মুনতাসিরুল ইসলাম, পিপিএম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (হাইওয়ে পুলিশ); সুফিয়ান আহমেদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (যুগ্ম-কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ); আহমদ মুঈদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট; কামরুল হাসান তালুকদার, (ইন্সপেক্টর) প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন; মাসুদ খান, এফসিএ, এফসিএমএ, স্বতন্ত্র পরিচালক; মো. আবদুল কাইয়ুম খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং কোম্পানি সচিব সাইফুল আলম এফসিএস।

ঢাকা/সুমন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এম ড আইজ

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ