বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল পরিসংখ্যান: কেমন ছিল অতীত লড়াই?
Published: 25th, March 2025 GMT
এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে আজ মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু পোলো গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই শক্তিশালী দল। ফিফা র্যাংকিংয়ে ভারত বর্তমানে ১২৬তম এবং এশিয়ান ফুটবলে তাদের অবস্থান ২২তম। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রয়েছে ফিফা র্যাংকিংয়ে ১৮৫তম এবং এশিয়ার তালিকায় ৩৯তম স্থানে।
পরিসংখ্যানে স্পষ্টভাবে এগিয়ে ভারত। দুই দল এখন পর্যন্ত ২৮ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ মাত্র ৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে, ভারতের জয় ১৩টিতে, আর ১২টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২২ বছর পার হয়ে গেলেও লাল-সবুজরা আর ভারতকে হারাতে পারেনি। তবে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছে। শেষ পাঁচ লড়াইয়ের চারটি ড্র হয়েছে এবং ভারত একটিতে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে।
সাম্প্রতিক পাঁচ ম্যাচের ফলাফল:
- ২০২১ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব: ভারত ২-০ বাংলাদেশ
- ২০২১ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: ভারত ১-১ বাংলাদেশ
- ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: ভারত ১-১ বাংলাদেশ
- ২০১৪ ফিফা প্রীতি ম্যাচ: ভারত ১-১ বাংলাদেশ
- ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: ভারত ১-১ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এছাড়া জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে চার প্রবাসী ফুটবলার খেলছেন- ডেনমার্কের জামাল ভূঁইয়া, ফিনল্যান্ডের তারিক রায়হান কাজী, কানাডার সৈয়দ শাহ কাজেম এবং ইংল্যান্ডের হামজা চৌধুরী।
অন্যদিকে, ভারতও শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে মাঠে নামছে। ৪০ বছর বয়সী কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রী অবসর ভেঙে ফিরেছেন এবং তার রেকর্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে চমকপ্রদ। ভারতের শেষ ছয় গোলের মধ্যে পাঁচটিই এসেছে তার পা থেকে। এখন দেখার বিষয়, পরিসংখ্যানের এই ব্যবধান পেরিয়ে বাংলাদেশ কতটা লড়াই করতে পারে!
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর স খ য ন ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ
অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।
তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।”
একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।
এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?
তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঢাকা/এম/রফিক