শ্রাবন্তীর শরীরে আপত্তিকর স্পর্শ, তেড়ে গেলেন নায়িকা
Published: 26th, March 2025 GMT
লোকে লোকারণ্য। প্রচন্ড ভিড় ঠেলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ অভিনেত্রী শ্রাবন্তীকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। হঠাৎ একটি হাত স্পর্শ করে নায়িকাকে। আপত্তিকর স্পর্শ মোটেও সহ্য করেননি, বরং তেড়ে যান এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়; যা এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে নেটিজেনদের অনেকে শ্রাবন্তীকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করছেন। আবার অনেকে বেজায় চটেছেন। একজন লেখেন, “কি ছোটলোক এগুলো, মেয়েদের সম্মান করতে পারে না।” আরেকজন লেখেন, “একদম ঠিক করেছেন। উনি একজন অভিনেত্রী, একজন মানুষ। অনুমতি ছাড়া তার শরীরে হাত দেওয়ার মানে কি?” অন্যজন লেখেন, “ছোট লোকের দেশ।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে স্টেজ শো করে থাকেন শ্রাবন্তী। ধারণা করা হচ্ছে, কলকাতার বাইরে কোথাও শো করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী। তবে ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে সে বিষয়ে জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
সমাজের চোখরাঙানিতে কিচ্ছু যায়-আসে না: শ্রাবন্তী
‘মেকআপ ছাড়া শ্রাবন্তীর মতো সুন্দরী ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই কম’
কয়েক দিন আগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা। এ আসরের রেড কার্পেটে ভুল ইংরেজি বলে ট্রলের শিকার হন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন শ্রাবন্তী।
শ্রাবন্তীর হাতে বেশ কটি সিনেমার কাজ রয়েছে। খুব শিগগির উইডোজ প্রোডাকশনের ‘আমার বস’ সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। তা ছাড়াও বড় পর্দায় শুভ্রজিৎ মিত্রের পিরিয়ড ড্রামা ঘরানার ‘দেবী চৌধুরানি’ হয়ে হাজির হবেন শ্রাবন্তী। ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে ‘হাঙ্গামা ডটকম’ সিনেমা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ র বন ত চ য ট র জ শ র বন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’