ঈদের ছুটিতে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। রাঙামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা ছুটি উপভোগ করছেন।

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের একদিন পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা রাঙামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেক পর্যটক পরিবার কিংবা অনেকে আত্বীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমণ করছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের আশা, ঈদের টানা নয় দিনের ছুটিতে রাঙামাটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমণ ঘটবে।

রাঙামাটিতে পর্যটনের আকর্ষনীয় স্পটের মধ্য রয়েছে- ঝুলন্ত সেতু, রাজ বন বিহার, জেলা প্রশাসনের বাংলো, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি, শুভলং ঝর্না, পুলিশের পলওয়েল পার্ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের অপরুপ সৌন্দর্য্য, বার্গী লেক ভ্যালি, রান্ন্যাটুগুন, অরণ্যেক, রাঙাদ্বীপ, মায়াবি রিসোর্টসহ ইত্যাদি।

এদিকে, রাঙামাটি সরকারি হলিডে পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশে সানরাইস ইকোপার্ক নামের একটি পর্যটন কেন্দ্র মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ পার্কে বসে দেখা মিলবে কাপ্তাই হ্রদের নয়নাভিরাম দৃশ্যসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। এ পার্কের প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে বিশ টাকা।

রাঙামাটি সরকারি হলিডে পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মঙ্গলবার তেমন পর্যটক না আসলেও ৩ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সেতুটিতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্স।

পর্যটক কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত সোমবার সেতুর কিছু অংশে পাটাতনের ওপর পানি ওঠে। তবে আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে পানি বেড়ে সেতুটি তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সকাল ১০টার দিকে সেতুতে উঠতে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতুর পাটাতনের ওপর এখন চার ইঞ্চির মতো পানি রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সেতুতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও নিকটবর্তী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু দিয়ে পারাপার করতে পারবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু