Samakal:
2025-06-16@14:30:38 GMT

সুযোগ আছে শিক্ষার্থীদের

Published: 6th, April 2025 GMT

সুযোগ আছে শিক্ষার্থীদের

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দ। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে সেখানে পড়ালেখা করছেন, গড়ে তুলছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগসহ নানা বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওলংগং-এর শিক্ষার্থী তানিয়া তাবাসসুম– 
শর্তের নমনীয়তা, অনুকূল জলবায়ু, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়াকে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য উপযুক্ত মনে করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কলারশিপের হাতছানি তো আছেই।  ‘আমারও  ইচ্ছা ছিল এমন একটি দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাব যেখানের শিক্ষার মান হবে বিশ্বমানের। আমি বাংলাদেশে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স সম্পন্ন করি। শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশকে মাথায় রেখেই নিজের প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় আমার ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরের কাছ থেকে পরামর্শ নেই এবং নিজে অনলাইনে রিসার্চ করি। অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি আমি ডেনমার্কেও আবেদন করি। আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে– আমি দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই অফার লেটার পাই। তবে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওলংগং থেকে ৩০% মেধাবৃত্তি পাই। পাশাপাশি আমার যেহেতু স্পাউস ছিল আর সে অস্ট্রেলিয়ায় ফুল টাইম কাজের 
সুযোগ পাবে এবং অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা 
যেহেতু খুবই ভালো সব মিলিয়ে আমি অস্ট্রেলিয়াকে নির্বাচন করি।’ 
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন : অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, মোনাশ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেইড, ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড, ইউনিভার্সিটি অব ওলংগংসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডিপার্টমেন্ট এবং সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে। গ্রুপ অব এইটখ্যাত বিশ্বের নামকরা গবেষণাভিত্তিক আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অস্ট্রেলিয়ায়। অত্যাধুনিক সুবিধা ও গবেষণার জন্য পরিচিতি ছাড়াও উদ্ভাবনী দক্ষতার জন্য বিশ্বসেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রতিবারের মতো ২০২৩ সালেও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি (৪১), মোনাশ ইউনিভার্সিটি (৫৭), ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (৯০), ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেইড (১০৯)। তাই গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছে অস্ট্রেলিয়া হতে পারে পছন্দসই দেশগুলোর একটি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পেশাদার গবেষকদের জন্যও অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে অবারিত সুযোগ। পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রেও প্রচুর ফান্ড দেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে এখানে পড়তে গেলে প্রয়োজন পড়বে প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার মতো সামর্থ্য, শক্তিশালী একাডেমিক ট্র্যাক রেকর্ড। 
আবেদন প্রক্রিয়া: অস্ট্রেলিয়াতে আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পর পরই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে হবে–  তার মধ্যে অন্যতম হলো ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সনদ, আইইএলটিএস পেপার, শিক্ষা সনদ এবং জব এক্সপেরিয়েন্স। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬.

৫ স্কোর মাথায় রেখে প্রস্তুতি ও পরীক্ষা দিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট থেকে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দেখে আবেদন করতে হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়াতে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিসিয়াল এজেন্ট রয়েছে তাদের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত সাবজেক্টে আবেদনের পরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে কন্ডিশনাল অফার লেটার প্রদান করবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর জিটিই ক্লিয়ার করে (আর্থিক সক্ষমতা এবং অন্যান্য সনদ) চূড়ান্ত অফার দেবে। চূড়ান্ত অফার পাওয়ার পর শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এক সেমিস্টারের টিউশন ফি এবং হেলথ ইন্সুরেন্স ফি ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনফার্মেশন অব ইনরোলমেন্ট লেটার পাওয়ার পরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 
ভিসা আবেদনের জন্য online.immi.gov.au/lusc/login এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নোটারি করে এবং এমবাসি মনোনীত মেডিকেল সেন্টার থেকে মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট সাবমিট করতে হবে এবং নির্ধারিত আবেদন ফি  প্রদান করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়ায় এ পর্যায়ে ভিসা প্রসেসের জন্য ভিএফএস সেন্টারে বায়োমেট্রিক প্রদান করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার আবেদন ও ভিসা প্রসেস পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হয়। ভিসা পাওয়ার জন্য ১ থেকে ২ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।  
কাজের সুযোগ : অস্ট্রেলিয়াতে স্কিল ভেদে নানা ধরনের কাজ করা যায়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপারশপ, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, পেট্রোল পাম্প-এ কাজের সুযোগ বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকাকালীন সময়ে ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। 
যে সব স্কিল জানা জরুরি:  অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভিং শিখে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট কুকিং, পার্লার অন্যান্য সফট এবং হার্ড স্কিল থাকলে ভালো টাকা উপার্জন করা সম্ভব। 
পিআর ও অন্যান্য সুবিধা : অস্ট্রেলিয়াতে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী জব থাকা জরুরি। অস্ট্রেলিয়াতে বড় সুবিধা হলো বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স লেখাপাড়ায় ২ বছরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। এই দুই বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী জব খুঁজে নিতে হবে।  সঠিক পরিকল্পনা আর প্রস্তুতিই পারে আপনাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে। 

[গ্রন্থনা– সজীব রায়]
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ত ত র জন য ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ