চাঁপাইনবাবগঞ্জে আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১২৪ কোটি টাকা
Published: 8th, April 2025 GMT
চলতি অর্থবছরের আট মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেমিট্যান্স এসেছে ৯২ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ১২৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৮ টাকা। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে গত আগস্ট মাসে—১৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নবম স্থানে আছে বলে জানিয়েছে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস।
সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রবাসে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয় আশির দশকে। নব্বইয়ের দশকে বিদেশগামীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ভর করে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। জেলার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন প্রবাসীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তের পর অনেকে জেলে গেছেন বা এলাকা ছেড়েছেন। ফলে, হুন্ডি মার্কেট এখন আগের মতো নেই। হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। তাই, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার, আগস্ট মাসে ১৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার, অক্টোবরে ১১ মিলিয়ন ডলার, নভেম্বরে ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, ডিসেম্বরে ১৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলার।
আরো জানা গেছে, গত চার অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে—১১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০২ মিলিয়ন ডলার, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৯১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
জেলা কর্মস্থান ও জনশক্তি অফিসের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জন বিদেশে গেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো.
তিনি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। বিশ্ববাজারের চাহিদার ভিত্তিতে যথাযথ কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং সুষ্ঠু ও সুসংহত অভিবাসন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর্মপ্রত্যাশীদের নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকা/শিয়াম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম ট য ন স এস ছ প ইনব বগঞ জ জনশক ত প রব স বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল