দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাইনরিটি সম্প্রদায়ের কোনো দলকে নিবন্ধন দিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির নাম বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), প্রতীক হচ্ছে রকেট।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ দলটির নেতাদের হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেন।

পরে বিএমজেপির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিলাম। বিশেষ কারণে নিবন্ধন ওই সময় পাইনি। বাছাইয়ে ১০টি দলের মধ্যে আমরা ছিলাম। কিন্তু ইসি দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়। আমরা প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নিবন্ধন দেওয়ার আদেশ দেন। আজকে কাঙ্ক্ষিত নিবন্ধন সনদ পেলাম।

সুকৃতি কুমার আরো বলেন, আজ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ৫৪ বছরে আমরা রাজনীতির স্বাদ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। তিন কোটির মতো মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। এখন আমরা রাজনীতি করার অধিকার পেলাম। আমরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আমাদের সমর্থন আছে। আমাদের প্রতীক হচ্ছে রকেট।

ইসি সচিব স্বাক্ষরিত নিবন্ধন সনদে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট-এর মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর- ১০৪৫৩/২০২৪ এর সূত্রে বিগত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রদত্ত রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়: ৪৩/এ, ইন্দিরা রোড, তেজগাঁও, শের-ই বাংলা নগর, ঢাকা-১২১৫ -এ অবস্থিত বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করিয়াছে। নিবন্ধন নম্বর ৫৫। দলটি রাজহাঁস প্রতীক চাইলেও ইসি সেটি দেয়নি বলে জানান বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাইনরিটিদের কোনো দল এবারই প্রথম নিবন্ধন পেল। এ নিয়ে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০টি। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলগুলোর প্রায় প্রতিটিই আবেদনের পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালেও শর্ত পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে ৭৬টি দলের কোনোটিকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। পরে ২০১৯ সালে ববি হাজ্জাজের দল এনডিএম আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছিল।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৪টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এমজ প ম ইনর ট র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া