ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের আয়োজনে গ্যাগারিন বিজ্ঞান ও শিল্প উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের তৃতীয় দিনে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন উদযাপনের জন্য একটি আকর্ষণীয় রকেট মডেল তৈরি প্রতিযোগিতা এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজ বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এই প্রাণবন্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যেখানে অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী দক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা এবং মহাকাশ গবেষণায় উৎসাহ তুলে ধরা হয়।

এতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী, ঢাকা ও আশপাশের শিক্ষক, এনজিও সদস্য এবং প্রবীণ নাগরিকরা অংশ নেন। তাদের কাগজের রকেট মডেলগুলি কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞানই নয়, কল্পনা, দলবদ্ধভাবে কাজ করা এবং ইউরি গ্যাগারিনের ঐতিহাসিক মহাকাশ যাত্রার দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি অগ্রণী মনোভাবকেও প্রতিফলিত করে।

আরো পড়ুন:

বৃহস্পতিবার তুরস্কে আবারো বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র

জেলেনস্কির শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৮

অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভোইচেনকভ তাদের অসামান্য সৃজনশীলতা ও অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, “আজকের কাগজের রকেট তৈরির কার্যক্রমের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা একদিন সত্যিকারের রকেট বা আরো উন্নত মহাকাশযান তৈরিতে অনুপ্রাণিত হতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ তরুণদের মনকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আকর্ষণীয় জগতের কাছাকাছি নিয়ে আসে। অনুসন্ধানের চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের অনুসন্ধানকারী, প্রকৌশলী এবং উদ্ভাবকদের মধ্যে বেঁচে আছে।”

পরিচালক শিক্ষামূলক উদ্যোগে সমর্থন এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত সম্পর্ক জোরদারে প্রতিষ্ঠানটির আত্মনিবেদনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

দভোইচেনকভ ব্যক্তিগতভাবে সব অংশগ্রহণকারীকে তাদের উদ্ভাবন এবং সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে সনদপত্র প্রদান করে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি

ভোলার ভ্যাপসা গরম, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সদর রোডজুড়ে তীব্র যানজট নাগরিক জীবনকে ব্যস্ত করে ফেলে। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ একটু স্বস্তি খোঁজে। আর সেই স্বস্তি এনে দিতে পারে ভোলার বিখ্যাত বৈষা দধি।

দুপুরের আগেই সব দোকানের হাঁড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। মহিষের কাঁচা দুধে পাতানো এই দই ভোলার স্বাদ, ইতিহাস ও গর্বের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ।

ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়। এই দইয়ের বিশেষত্ব হলো, মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে এটি পাতা হয়। বাজারে সচরাচর যে দই পাওয়া যায়, সেসব তৈরি হয় গরুর দুধ দিয়ে এবং দুধ জ্বালিয়ে গাঢ় করে। কিন্তু ভোলার বৈষা দধি হয় মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে।

জলবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার এক অমূল্য সম্পদ মহিষ। পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া, উত্তরে ইলিশা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর—এই চার নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার মহিষ। সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি, তবে স্থানীয় লোকজনের মতে তা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এই মহিষের দুধই বৈষা দধির প্রাণ।

প্রায় দুই শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকে এই দই। এ ছাড়া অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম প্রধান উপাদান এটি। উৎসব-পার্বণ, বিয়েশাদি কিংবা যেকোনো সামাজিক আয়োজনে বৈষা দধি ছাড়া যেন ভোলার কোনো উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না।

মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের ‘ভোলা জেলার ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, দুই শ বছর আগে থেকে ভোলায় চর জাগতে শুরু করে। বসতি হয়, মহিষ পালন শুরু হয়। দুধ সংরক্ষণের উপায় ছিল না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দই বানাতেন। সেখান থেকেই বৈষা দধির যাত্রা শুরু, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো অঞ্চলে।

ভোলার মানুষের খাদ্যসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এই দই। এটি ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়, চিড়া-মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক খাবার, আবার গরমের দিনে দই, পানি ও চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ঘোল—যা শরীরকে শীতল রাখে। শীতকালে হাঁসের মাংসের সঙ্গে টক দই ও খেজুরের গুড়—ভোলার ভোজনরসিকদের কাছে এক অনন্য স্বাদ। পান্তাভাতের সঙ্গে দই ও খেজুরের গুড় এই অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি খাবার।

বর্তমানে প্রতি কেজি বৈষা দই বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। তবে ঈদে দাম বেড়ে যায়। ঈদের আগেই বিক্রেতারা দুধ জমাতে শুরু করেন এবং এ সময়ে প্রতিদিন ৮০০–৯০০ কেজি পর্যন্ত দই বিক্রি হয়।

ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনবে চোখের নতুন ড্রপ
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • মাইক্রোসফটের ফ্রি অনলাইন কোর্স : ডেটা সায়েন্স–এআইসহ নানা বিষয়ে শেখার সুযোগ
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি