ভোরের আলোয় আলোর পথযাত্রার আহ্বানে ছায়ানটের বর্ষবরণ
Published: 14th, April 2025 GMT
ভোরের আলো সবে এসে স্পর্শ বুলিয়ে দিয়েছে রমনার নিবিড় সবুজ পাতায় পাতায়। তারও আগে ঘুমের জড়তা কাটিয়ে উৎসবের সাজে সেজে দলে দলে নারী-পুরুষ এসে সমবেত হয়েছেন বটমূল চত্বরে। বটমূলের মঞ্চে সারি দিয়ে বসেছেন ছায়ানটের সংগীত ও যন্ত্রশিল্পীরা। উষার আলো ফুটতেই সুপ্রিয়া দাস ছড়িয়ে দিলেন প্রভাতের ভৈরবী রাগালাপ। তাঁর কণ্ঠের সুরে সুরে আজ সোমবার সূচনা হলো বাংলা ১৪৩২ সনকে স্বাগত জানিয়ে ছায়ানটের বাণী ও সুরের প্রভাতি আয়োজন।
ছায়ানটের এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। দেশ, মানুষ, প্রকৃতিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আঁধার পেরিয়ে আলোর পানে যাত্রার আহ্বান ছিল আজকের আয়োজনে। এবার ৫৮ তম বারের মতো রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের এই আয়োজন। তারা শুরু করেছিল ১৯৬৭ সালে। তখন চলছিল আইয়ুব খানের কঠিন সামরিক শাসন। পূর্ব পাকিস্তানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। ছায়ানট সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাঙালি সংস্কৃতির জাগরণে বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আয়োজন করেছিল পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তার পর থেকে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। রমনার বটমূলে ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঘটে ভয়ংকর বোমা হামলা। কিন্তু তাতে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে ছায়ানটের অগ্রযাত্রা থেমে যায়নি। বরং আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে নতুন উদ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক জাগরণের অভিযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তাদের এই নববর্ষের অনুষ্ঠান কালক্রমে বহু সাংস্কৃতিক সংগঠনকে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান দেশের ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে ছায়ানটের এই প্রভাতি আয়োজনের রয়েছে বিপুল অবদান।
এবার ৫৮তম বারের মতো রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের এই আয়োজন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ছ য় নট র বটম ল রমন র
এছাড়াও পড়ুন:
দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।