ডিবি প্রধানকে সরানোর সঙ্গে মডেল মেঘনার ঘটনার সংশ্লিষ্টতা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 15th, April 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ডিবি প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে মডেল মেঘনা আলমের ঘটনার সংশ্লিষ্টতা নেই। ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিকের বদলি একটি রুটিন প্রক্রিয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী। মেঘনার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মডেল মেঘনাকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে গ্রেপ্তার হননি মেঘনা। এ ঘটনা এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এটা নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না।
মেঘনার গ্রেপ্তার নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আইন উপদেষ্টা কী প্রেক্ষিতে বলেছেন, সেটা তো আমরা জানি না। সেটা তো উনাকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। এছাড়া উনি তো আমাদেরও বলেননি যে এই কারণে আমি ওটা বলেছি। এটা আপনারা জানেন। আপনার (সাংবাদিক) কথা থেকে উত্তরটা দিলে তো সঠিক প্রেক্ষাপট জানা যাবে না, উত্তরটাও সঠিক হবে না।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সমালোচনা হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মো.
তিনি বলেন, তবে আপনি যদি বলেন এক্ষেত্রে কী হয়েছে- একটা ঘটনা ঘটেছে, একটা অভিযোগ এসেছে, এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিষয়টি হাইকোর্টে গেছে। হাইকোর্টে গেলেই এটা বিচারাধীন বিষয়। সাব-জুডিস ম্যাটারে তো কথা বলা ঠিক হবে না। দেখি কী আসে ওখান থেকে।
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, তবে একটা জিনিস নিশ্চিত। প্রচলিত আইনে ব্যবস্থাটা নেওয়া হয়েছে, এখানে কারও প্রতি বেআইনি কোনো আচরণ করা হয়নি। হাইকোর্টে এটা নিয়ে বিচার চাচ্ছে, আমরা জবাব দেব। আপনারা সব পাবেন, অগ্রিম এই বিষয়গুলো নিয়ে তো আলোচনা ঠিক না।’
মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ঢাকায় তার বাসা থেকে পুলিশ আটক করার দুদিন পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম চ ধ র স বর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা