রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। দুই ধাপে এ পরীক্ষা হবে—বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে আঞ্চলিক কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে আবেদনকারী ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৬ হাজার ১৬২ জন। আসন রয়েছে ১ হাজার ৮৭২টি। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করবেন ৫১ জন।

‘এ’ ইউনিটের আওতায় রয়েছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদের ২৭টি বিভাগ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে কলা অনুষদে আসন রয়েছে ৮৮৬টি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৬৫৬টি, আইন অনুষদে ১৬০টি, চারুকলা অনুষদে ১২০টি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৫০টি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পরীক্ষার আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর অঞ্চলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে মোট আসন ৪ হাজার ৩২৩টি। সেখানে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৫ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। গড় হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করছেন ৫৫ জন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ আসন র ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে মা-ছেলের কবর, সেই দৃশ্য কাঁদাচ্ছে এলাকার মানুষকে

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কেনেন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সেটি চালিয়ে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন জিয়া উদ্দিন (২৭)। সঙ্গে ছিল তাঁর এক চাচাতো ভাই। পথে নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জিয়া উদ্দিনের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (১৬)। জিয়া উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৩), মেয়ে মাহমুদা কায়সার (৮) ও ছেলে মানারুল ইসলামকে (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম।

গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট এলাকায় ঘটে এই সড়ক দুর্ঘটনা। এরপর রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম মারা যান। জিয়া উদ্দিন উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর এলাকায়।

আহত জিয়া উদ্দিনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জিয়া উদ্দিনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মেয়ে মাহমুদা কায়সারের অবস্থাও শঙ্কাজনক। এর মধ্যেই তিনজনের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে পারিবারিক কবরস্থানে। পাশাপাশি খোঁড়া হয়েছে ফারজানা আক্তার ও তাঁর ছেলে মানারুলের কবর।

কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বামন সুন্দর এলাকার মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা-ছেলের জন্য পাশাপাশি কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখ সিক্ত হচ্ছে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় পুত্রবধূ, নাতিসহ পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি করছেন বিবি হালিমা। আজ সকালে

সম্পর্কিত নিবন্ধ