বি–আর পাওয়ারজেন লিমিটেডে লোকবল নিয়োগে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি তিনটি পদে মোট ৬৪ জনকে নিয়োগে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোর যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। অনলাইনে পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হবে ২০ এপ্রিল। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। আবেদন করতে হবে অনলাইনে।

পদের নাম ও পদসংখ্যা

১.

সিকিউরিটি সুপারভাইজার

পদের সংখ্যা: ৯

মূল বেতন: ২৩,০০০ টাকা। সঙ্গে কোম্পানির বিদ্যমান বিধি মোতাবেক অন্য ভাতা ও সুবিধাদি

পে গ্রেড: ১৪

আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি অথবা সমমান। কমপক্ষে প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত।

আরও পড়ুনবিসিআইসিতে বড় নিয়োগ, পদ ৬৮৯, আবেদন করুন দ্রুত৮ ঘণ্টা আগে

২.

ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট (গ্রেড: ৪)

পদের সংখ্যা: ১৪

মূল বেতন: ১৭,০০০ টাকা। কোম্পানির বিদ্যমান বিধি মোতাবেক অন্য ভাতা ও সুবিধাদি

পে গ্রেড: ১৭

আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ভোকেশনাল অথবা কমপক্ষে তিন বছরের সংশ্লিষ্ট কর্মঅভিজ্ঞতাসহ এসএসসি অথবা সমমান।

৩.

হেলপার

পদের সংখ্যা: ৪১

মূল বেতন: ১৪,০০০ টাকা। কোম্পানির বিদ্যমান বিধি মোতাবেক অন্য ভাতা ও সুবিধাদি

পে গ্রেড: ২০

আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি অথবা সমমান। অভিজ্ঞতাধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আবু সাঈদ, জেন-জি, ছিল ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্ন৩০ মিনিট আগেচাকরিতে আবেদনের বয়স

প্রার্থীর বয়স ২০–০৪–২০২৫ তারিখে ১ নম্বর ক্রমিকের পদের জন্য ৫০ বছর, ২ ও ৩ নম্বর পদের জন্য সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদনের নিয়ম

আগ্রহী প্রার্থীদের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদন জমার শেষ সময় ১৫–০৫–২০২৫ তারিখ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য গ যত

এছাড়াও পড়ুন:

ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন

পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অভাবের সংসারে নিজেকে একরকমের বোঝাই মনে করতেন। কিছু একটা করা দরকার। পরিস্থিতি যেন আবু সালেহ আহমেদকে দিন দিন আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্নে নিজেকে অটুট রেখেছেন। আর পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। ধৈর্য নিয়ে নিজের স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আজ সালেহ নিজেকে বলতেই পারেন একজন সফল ফ্রিল‍্যান্সার। কেননা এখন তিনি মাসে আয় করেন তিন লাখ টাকা।

আবু সালেহ আহমেদ। ডাকনাম আফনান। বাবা মো. কুতুব উদ্দিন শেখ মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছেন। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তারাপুর গ্রামের আবু সালেহ আহমেদ এখন অবশ্য এলাকায় থাকেন না। থাকেন ঢাকার কাঁঠালবাগানে। এখান থেকেই আফনান গড়ে মাসিক তিন লাখ টাকা আয় করেন। ছোট্ট একটা অফিসও নিয়েছেন, যেখানে চারজন ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান করেছেন।

২০১৬ সালে সেনগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাসের পর ২০২০ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন আবু সালেহ আহমেদ। এখন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে স্থাপত্য বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ছাত্রাবস্থাতেও তাঁর মাসিক আয় কোনো কোনো মাসে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২৭ বছর বয়সী আবু সালেহ আহমেদ বিয়ে করেছেন গত বছর। স্ত্রীর নাম ফাতেমা জোহরা।

পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই ছিল কঠিন

আফনান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আসলে মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করে বের হয়েছি। তখন ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সামর্থ্য ছিল না ভালো জায়গায় পড়ার। আমার চার বছর যে সম‍য়টা কেটেছে, আসলে খুব কষ্টে কেটেছে। কলেজে আমি এক্সট্রা কারিকুলামে ভালো ছিলাম, ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলাম, বেশ কিছু জায়গায় বিতর্ক করে চাম্পিয়নও হয়েছি। স‍্যারদের চোখে পড়েছি। একসময় আর পেরে উঠছিলাম না, তাই দুই বছর পড়তে পড়তেই টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) নিতে গিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকেরা আমার কথা শুনে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যার ফলে আমি পড়াশোনাটা শেষ করেছি।’

আবু সালেহ আহমেদ প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘দিনগুলো কঠিন ছিল। টিউশনি করাতাম। ১ হাজার ৫০০ টাকা পেতাম। ১ হাজার টাকা মেসভাড়া ও ৫০০ টাকায় খাওয়া। সকালে ও রাতে খেতাম। মাসে তা–ও খাওয়ার বিল আসত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। মেসের বাকিরা সেটা দিয়ে দিত। তারপর একদিন ২ হাজার ৫০০ টাকার একটা টিউশনি পেয়ে একটু যেন শক্তি পেলাম। এভাবেই আমার ডিপ্লোমার চার বছর কেটেছে।’

একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায়

২০২০ সালে ডিপ্লোমা পড়া শেষ করেই একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আবু সালেহ আহমেদ। এসেই শুরু করেন আবার জীবনসংগ্রাম। কোথাও কাজ পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ ফুডপ্যান্ডায় রাইডার (ডেলিভারি বয়) হিসেবে কাজ নেন তিনি। কিন্তু শুধু ফুডপ্যান্ডায় কাজের আয় দিয়ে তাঁর চলছিল না। তখন থেকেই কাজের পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। কিছু জায়গায় খোঁজ নিয়ে ভর্তি হয়ে যান তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটিতে। খাবার ডেলিভারির পাশাপাশি কাজও শিখতেন।

আবু সালেহ আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন