বাংলার ইতিহাসে গৌরবগাথা কম নয়। কিন্তু প্রায় স্মৃতির অতলে চলে গেছে আমাদের জাতীয় জীবনের এক অমূল্য বীরত্বগাথা চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের সমস্ত অহংকার চূর্ণ করে দিয়েছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে কয়েকজন তরুণ যোদ্ধা। দোর্দণ্ড প্রতাপের ব্রিটিশ শাসনের বিশাল ভারতবর্ষে চট্টগ্রামকে ৪ দিন স্বাধীন করে রেখেছিল কয়েকজন অকুতোভয় বিপ্লবী। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে ‘যুব বিদ্রোহ উৎসব’ উদযাপন করল চট্টগ্রামের বোধন আবৃত্তি পরিষদ। 
শুক্রবার চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বোধন ‘রাস্তা জুড়ে রোদ হোক’ শিরোনামে তৃতীয়বারের মতো এই যুব বিদ্রোহ উৎসবের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কথামালায় অংশ নেন সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক সুভাষ দে, কবি ও প্রাবন্ধিক কমলেশ দাশগুপ্ত, কথাসাহিত্যিক ড.

আজাদ বুলবুল ও বোধন আবৃত্তি পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল সোহেল। 
প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সুভাষ দে বলেন, ‘যুব বিদ্রোহ একদিনে আসেনি। বিপ্লবীদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা পরিশ্রম ও জীবন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এটি এক যুগান্তকারী ইতিহাস হিসেবে রচিত হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের চরমতম এ সত্যকে আমরা ভুলতে বসেছি।’ 
কবি কমল দাশগুপ্ত বলেন, ‘ইতিহাস সবসময় স্বমহিমায় উজ্জ্বল। বিপ্লবীরা মরে না, তারা মৃত্যুঞ্জয়ী। চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে যারা নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন সেই মহান শহীদদের আদর্শকে তরুণদের সামনে তুলে ধরতে হবে।’
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ড. আজাদ বুলবুল বলেন, ‘যুব বিদ্রোহের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল সমাজ কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবীদের ভুলে যাওয়া যাবে না। নব প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে গর্বের ইতিহাস।’ 
কথামালা শেষে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য নিকেতন ও নৃত্যরূপ একাডেমি। দলীয় গানে অংশ নেয় ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন।
বোধনের অর্থ সম্পাদক অনুপম শীলের সঞ্চালনায় একক আবৃত্তিতে অংশ নেন বোধনের আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা চৌধুরী, পল্লব গুপ্ত, সংগীতা কর চৌধুরী, সুচয়ন সেনগুপ্ত, শর্মিলা বড়ুয়া, জলিল উল্লাহ ও ত্রয়ী দে। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ত যশ ল প

এছাড়াও পড়ুন:

গণিত উৎসব ২০২৬-এর নিবন্ধন শুরু সময় বাড়ল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৬–এর অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। ৮ ডিসেম্বর রাতে এক ঘোষণার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আয়োজকেরা। গণিত উৎসব ২০২৬-এ অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেককেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। পূর্ববর্তী বছরগুলোয় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্যও নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

আয়োজকেরা জানান, গণিত উৎসবে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধন লিংক: https://matholympiad.org.bd

গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে চারটি ক্যাটাগরিতে—প্রাইমারি (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বা সমমান), জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বা সমমান), সেকেন্ডারি (নবম–দশম শ্রেণি) এবং হায়ার সেকেন্ডারি (একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণি) ও সমমানের জন্য প্রযোজ্য।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৬-এর অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজেদের ভাষা বাঁচানোর লড়াই করা ম্রো শিশুরা ঢাকায় আসছে
  • বেরোবিতে বিআরইউডিএফের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক উৎসব
  • মেসির দেখা পেতে কলকাতায় আসছেন শাহরুখ
  • ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন
  • বিজয় দিবসে উপলক্ষে তিন দিনের নাট্যোৎসব আয়োজন করছে ডাকসু
  • গণিত উৎসব ২০২৬-এর নিবন্ধন শুরু সময় বাড়ল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত