যশোরের কেশবপুরে খবর প্রকাশ করার জেরে সোহেল পারভেজ নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত সাংবাদিকের বাবা আজ রোববার দুপুরে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

হামলার শিকার সাংবাদিক সোহেল পারভেজ দৈনিক সকালের সময়ের কেশবপুর প্রতিনিধি এবং কেশবপুর থেকে প্রকাশিত দেশ জনতার কথা পত্রিকার মফস্‌সল সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামে।

জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আনোয়ার হোসেন আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়ুলিয়া বাঁধের ওপর একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সোহেল পারভেজ। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান গাজী, তৈয়বুর শেখ, শাহিন বিশ্বাস, সাদ্দাম বিশ্বাস, ফারুক সরদারসহ কয়েকজন তাঁর ওপর চড়াও হন। কেন বিভিন্ন সময়ে খবর লেখেন এবং এলাকার একটি সালিস বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন—এ কথা জানতে চেয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে টেনেহিঁচড়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে গেছে। বুকের বাঁ পাশে আঘাত লেগে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান গাজী বলেন, গ্রামের লোকজন একটি সালিস করেছিলেন। ওই সালিসে তিনজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছিল। সোহেল পারভেজ সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবি করেছিলেন। এ কারণে এলাকার লোকজন তাঁকে মারধর করেছেন। তিনি মারধরের সময় উপস্থিত ছিলেন, তবে গায়ে হাত দেননি বলে দাবি করেন।

আহত সোহেল পারভেজ বলেন, এলাকার চিহ্নিত ওই ব্যক্তিরা দখলবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছেন। তাঁরা দুর্ধর্ষ প্রকৃতির মানুষ। তিনি বিভিন্ন সময় অপকর্মের খবর লিখলে তাঁরা তাঁকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে থাকেন। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করেন। এলাকার লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অ্যাম্বুলেন্স আনার পথে তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সটি অন্য পথ দিয়ে ঘুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোহেল পারভেজকে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার পর তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক শবপ র এল ক র উপজ ল ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

বিবাহবিচ্ছেদের পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন চাহাল

এ বছরের মার্চে পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন ভারতের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ইউটিউবার–অভিনেত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর। ভারতের ইউটিউবার রাজ শামানির সঙ্গে পডকাস্টে সংসার ভাঙা নিয়ে কথা বলেছেন চাহাল।

ভারতের হয়ে ২০২৩ সালে সর্বশেষ খেলা এই লেগ স্পিনার জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরেই তাঁর ও ধনশ্রীর মধ্যে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না। তবু তাঁরা এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগপর্যন্ত ব্যক্তিগত জীবনের ঝামেলা সামনে নিয়ে আসেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যান এবং একপর্যায়ে আত্মহত্যা করার কথাও ভাবেন।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১ ঘণ্টা আগে

ভারতের হয়ে ৭২ ওয়ানডে ও ৮০ টি–টোয়েন্টি খেলা চাহালের কাছে রাজ শামানি জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কী কারণে তাঁদের সম্পর্কটা ভেঙে গেল? ৩৫ বছর বয়সী চাহালের উত্তর, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা ব্যাপারটা সামনে আনব না।’

২০১৬ সালের জুনে ভারতের হয়ে অভিষেক চাহালের। চার বছর পর ধনশ্রীকে বিয়ে করেন তিনি। চাহাল জানিয়েছেন, জাতীয় দলে হয়ে খেলায় তাঁর ব্যস্ত হয়ে পড়া এবং ধনশ্রীরও নিজ ক্যারিয়ার নিয়ে মনোযোগী হয়ে পড়ায় কেউ কাউকে সময় দিতে পারেননি। সাংসারিক ঝামেলার এটাই মূল কারণ বলে মনে করেন চাহাল।

যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ