মাঠের রাস্তায় জামাই-শাশুড়ির বেড়া, বিপদে দুই গ্রামের কৃষক
Published: 20th, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে মাঠের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় প্রায় দেড় হাজার কৃষক তাদের আবাদি জমিতে যেতে পারছেন না। এতে চলতি মৌসুমে মাঠের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির ধান বাড়িতে আনা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দুই গ্রামের কৃষক।
রাস্তার জমি নিজেদের দাবি করে গত বুধবার ওই গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও তাঁর জামাতা আক্তারুল ইসলাম বেড়া দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার উপজেলার সুবিদপুর ও মোল্লাকুয়া গ্রামের শতাধিক কৃষক রাস্তায় দেওয়া বাঁশের বেড়ার সামনে এসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে, ৪০ বছর আগে সুবিদপুর গ্রামের মৃত ইসহাক আলী মণ্ডলের পরিবার মাঠ থেকে কৃষকদের ফসল আনার সুবিধার্থে দুই শতক জমি রাস্তার জন্য দান করেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে জরিপে ভুলবশত মৃত ইসহাক আলী মণ্ডলের নামে ওই জমি রেকর্ড হয়ে যায়। ওই জমিতে মালিকানা দাবি করে গত বুধবার ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও তাঁর জামাতা আক্তারুল ইসলাম বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন।
সুবিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গ্রামের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই ফাহিমা খাতুন ও তাঁর জামাতা আক্তারুল রাস্তাটি বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন। এতে কৃষকরা মাঠের ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছেন না।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফাহিমা খাতুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মেয়ে মুক্তি বেগম ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ আমিন এনে রাস্তা মেপেছে। এ সময়ে গ্রামের লোকজন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিমাপে জায়গাটি তাদের নিশ্চিত হয়েই সেখানে বেড়া দিয়েছেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসীম উদ্দীন বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই ফাহিমা খাতুন তাঁর জমিতে বেড়া দিয়েছে। এখন কিছু লোক বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি করছে। রাজনৈতিক সমস্যায় এমনটি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ওই ইউনিয়নের প্রশাসকের সহায়তায় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জেনে তিনি ওই গ্রামের লোকজনকে খবর পাঠিয়েছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন