ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে মাঠের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় প্রায় দেড় হাজার কৃষক তাদের আবাদি জমিতে যেতে পারছেন না। এতে চলতি মৌসুমে মাঠের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির ধান বাড়িতে আনা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দুই গ্রামের কৃষক।

রাস্তার জমি নিজেদের দাবি করে গত বুধবার ওই গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও তাঁর জামাতা আক্তারুল ইসলাম বেড়া দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার উপজেলার সুবিদপুর ও মোল্লাকুয়া গ্রামের শতাধিক কৃষক রাস্তায় দেওয়া বাঁশের বেড়ার সামনে এসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। 

জানা গেছে, ৪০ বছর আগে সুবিদপুর গ্রামের মৃত ইসহাক আলী মণ্ডলের পরিবার মাঠ থেকে কৃষকদের ফসল আনার সুবিধার্থে দুই শতক জমি রাস্তার জন্য দান করেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে জরিপে ভুলবশত মৃত ইসহাক আলী মণ্ডলের নামে ওই জমি রেকর্ড হয়ে যায়। ওই জমিতে মালিকানা দাবি করে গত বুধবার ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও তাঁর জামাতা আক্তারুল ইসলাম বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন।

সুবিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গ্রামের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই ফাহিমা খাতুন ও তাঁর জামাতা আক্তারুল রাস্তাটি বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন। এতে কৃষকরা মাঠের ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছেন না। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফাহিমা খাতুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মেয়ে মুক্তি বেগম ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ আমিন এনে রাস্তা মেপেছে। এ সময়ে গ্রামের লোকজন এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিমাপে জায়গাটি তাদের নিশ্চিত হয়েই সেখানে বেড়া দিয়েছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য জসীম উদ্দীন বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই ফাহিমা খাতুন তাঁর জমিতে বেড়া দিয়েছে। এখন কিছু লোক বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি করছে। রাজনৈতিক সমস্যায় এমনটি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ওই ইউনিয়নের প্রশাসকের সহায়তায়  সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জেনে তিনি ওই গ্রামের লোকজনকে খবর পাঠিয়েছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ডিহাইড্রেশন দূর করতে ‘লেবুর কাজী’

লেবুর কাজী ভাতের সাথে ডালের মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, মাংসের ঝুরা, কালা ভুনা, এবং কোয়াবের সঙ্গে খেতেও অনেক ভালো লাগে। ভুনা বা ডিপ ফ্রাই মাছের সাথেও বেশ জমে যায় লেবুর কাজী।

উপকরণ

ঠান্ডা পানি: ৫০০ মিলি

ভাজা শুকনা মরিচ: ২টি

লেবু: ১টি (রস করে নেওয়া)

সরিষার তেল: ১ টেবিল চামচ

রসুন কুচি: ১ চা চামচ

লবণ: স্বাদমতো

প্রথম ধাপ: একটি বড় বাটিতে লেবুর রস, শুকনা মরিচ, রসুন কুচি, সরিষার তেল ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর  হাত দিয়ে উপকরণগুলো ভালোভাবে মেখে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ: এবার পরিমাণমতো পানি যোগ করুন। এরপর সবকিছু একসাথে মিশিয়ে নিলেই তৈরি লেবুর কাজী।

সূত্র: শিউলি কিচেন

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ