ট্রাইব্যুনালে ছয় দাবিতে স্মারকলিপি মায়ের ডাকের
Published: 20th, April 2025 GMT
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গুমবিরোধী সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের ফটকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।
পরে মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলির নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ছয় দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
মায়ের ডাকের দাবির মধ্যে রয়েছে– ‘আয়নাঘর’ ও গুম-নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ ও অবিলম্বে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঠেকানো, খুন-গুম ও নির্যাতনে জড়িত সবাইকে আইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাতে হবে। ভবিষ্যতে গুম, নির্যাতন ও গোপন বন্দিশালার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং সংবিধান ও মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার আনতে হবে।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আট মাস পরও গুম-খুনের বিচার নিশ্চিত করতে পারছে না। দ্রুত এসবের বিচার হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, দ্রুত গুম-খুন ও ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার করতে হবে। জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
মানববন্ধনে সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোল চলবে। প্রয়োজনে আমরা আবারও রাজপথে নামব।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
১৮ দিনের মাথায় কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের পদত্যাগ
দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১৮ দিনের মাথায় শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া।
অধ্যাপক হযরত আলী গত ১ মে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। ৩ মে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু, শিক্ষক সমিতি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে পদত্যাগের দাবি জানায়। বৃহস্পতিবার সকালেও কুয়েটের উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীর পদত্যাগ, যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ ও দ্রুত কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধনে যোগ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘দুর্বার বাংলা’র পাদদেশে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম কাদের।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক