সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভাঙার কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পরে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের কয়েকটি অংশের ইট খুলে ফেলা হয়েছে, স্তম্ভের ওপর ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা অংশ। কিছু অংশের প্লাস্টারও খসে পড়েছে। এমন ভিডিও দেখে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে জনমনে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভাঙা হচ্ছে না। এখানে চলছে সংস্কার কার্যক্রম।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, মানুষকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে।”

রাশেদ আহসান বলেন, ‘‘মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন নামের একটি প্রকল্পের আওতায় একটি দুই তলা মাল্টিপারপাস ভবন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মূল স্মৃতিসৌধের জরাজীর্ণ ইটের গাঁথুনি পরিবর্তন, সামনের প্লাজার জরাজীর্ণ পেভমেন্টের ইট এবং টাইলসের পরিবর্তন করা হবে।”

“এতে স্মৃতিসৌধের মূল নকশার কোনো পরিবর্তন করা হবে না। বর্তমান যে নকশা আছে তাতেই স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন করা হবে।”

তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, মানুষকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। মূলত ব্যবহারজনিত কারণে স্মৃতিসৌধ, সামনের প্লাজার সিরামিকের ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সৌধের সিরামিকের ইটগুলো সরিয়ে নতুন ইট বসানো হবে। কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। এ কারণে চারপাশে ড্রেন করতে হবে, এই ড্রেন থেকে আবার প্লাজা কিছুটা উঁচু করতে হবে।”

“একটা মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ হচ্ছে, যেখানে একটা লাইব্রেরি কাম রেস্ট রুম থাকবে। যখন প্রোগ্রাম হয় তখন মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে আসেন। উনাদের রেস্ট নেওয়া, ফ্রেশ হওয়ার জন্যই ওই রুমটা ব্যবহার করতে পারবেন।”

রাশেদ আহসান বলেন, “এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বর মাসে, আগামী জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কুশলী নির্মাতা লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।”

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ